তিনি বলেন, ইলিয়াস আলী শুধু বিএনপির নেতা নন, তিনি একজন সংসদ সদস্যও ছিলেন। শেখ হাসিনা তাকে গুম করেছেন, খুন করেছেন। এই কাজের জন্য শেখ হাসিনার ফাঁসি চাই। বিএনপির বহু নেতাকর্মীকে একইভাবে গুম ও খুন করা হয়েছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে দুদু বলেন, এই সরকারের ৮ মাস হয়ে গেল, এখনো গুম-খুনের বিচারে কোনো অগ্রগতি নেই। ইলিয়াস আলীর পরিবারে কেউ যাননি, যারা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তারাও না। ৫ মাস পরে আয়না ঘরে গিয়েছিলেন, কিন্তু গুম হওয়াদের পরিবারের পাশে দাঁড়াননি কেন?

তিনি আরও বলেন, যারা দেশ লুট করেছে, যারা বিদেশে টাকা পাচার করেছে—তাদের বিচারের আওতায় আনুন। তা না হলে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ফ্যাসিবাদ তাড়ানো বাংলাদেশের মানুষের ওয়ান-টু ব্যাপার। শেখ হাসিনাকে যেমন জনগণ বিদায় দিয়েছে, ভবিষ্যতে আবার কোনো ফ্যাসিবাদ দেখা দিলে তার পরিণতিও একই হবে। সেটি মাথায় রেখে অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ করতে হবে। আপনাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেছি, চাই ফুলের মালা দিয়েই বিদায় জানাতে। এটাই এখন পর্যন্ত বিএনপির চাওয়া।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন—বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা এবং গণতান্ত্রিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আমির হোসেন আমু।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পরিষদের আহ্বায়ক কামাল আহমেদ।