বিচার করবেন কি করবেন না— তা আমরা বুঝে গেছি। আট মাস হয়ে গেলেও গুম-খুনের বিচার নিয়ে তেমন অগ্রগতি নেই। ইলিয়াস আলী শুধু বিএনপির নেতা নন, তিনি একজন সংসদ সদস্যও ছিলেন। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কেউই এখনো তার পরিবারের পাশে দাঁড়াননি। সরকার প্রতিষ্ঠার পাঁচ মাস পর আয়না ঘরে গিয়েছিলেন, কিন্তু গুম হওয়া মানুষদের বাসায় যাননি। কেন?
আজ (১৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পরিষদ আয়োজিত যুব সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে এসব কথা বলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীসহ গুম হওয়া নেতাকর্মীদের সন্ধানের দাবিতে আয়োজিত এক যুব সমাবেশে তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা বিএনপির বহু যুব ও ছাত্র নেতাকে গুম ও খুন করেছেন। এর জন্য তিনি শেখ হাসিনার ফাঁসি দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, যারা লুটপাট করেছে, যারা বিদেশে টাকা পাচার করেছে— তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাই। গুম-খুনের বিচারে কার্যকর উদ্যোগ নিন।
ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জনগণের লড়াইয়ের প্রসঙ্গ টেনে দুদু বলেন, বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার মতো একজন ফ্যাসিস্ট শাসককে তাড়িয়েছে। ভবিষ্যতে যদি আবার ফ্যাসিবাদ ফিরে আসে, তাহলে তাকেও প্রতিহত করবে জাতি। ফ্যাসিবাদ তাড়ানো এই জাতির জন্য 'ওয়ান-টু' ব্যাপার। আপনাকে (সরকারকে) ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেছি, চাই ফুলের মালা দিয়েই বিদায় জানাতে— এটাই এখন বিএনপির অবস্থান।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক কামাল আহমেদ। বক্তব্য দেন—বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা, এবং গণতান্ত্রিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আমির হোসেন আমু।