আওয়ামী
লীগের ভয়াবহ অপরাধে অভিযুক্ত নেতাদের ‘জামাই আদরে’ আদালতে হাজির করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, যারা গণহত্যা চালিয়েছে, যারা দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের অপশাসনের
জন্য দায়ী, তারা এখন আদালতে এসে উল্টো হুমকি-ধামকি দিচ্ছে।
আজ
(২৪ এপ্রিল) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে
এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী
অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত
হলেও এখন পর্যন্ত গণতান্ত্রিক শক্তির প্রত্যাশা অনুযায়ী দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি। বরং, যারা অতীতে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের হোতা ছিল, তারা এখন আদালতে এসে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসন
খালেদা জিয়ার বিচার দাবি করছে।
জুলাই-আগস্টে আলোচিত আওয়ামী নেতা শাজাহান খানসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে রিজভী বলেন, তারা আদালতকে ভেংচি দিচ্ছে, পুলিশকে তাচ্ছিল্য করছে, এবং প্রকাশ্যেই সরকারকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। এটি একটি গভীর চক্রান্ত, যার লক্ষ্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অকার্যকর প্রমাণ করা।
তিনি
আরও বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের ভূমিকা
সন্দেহজনক। প্রশাসনের অভ্যন্তরে আওয়ামী লীগের অনুগত কিছু কর্মকর্তা ‘সর্ষের ভেতর ভূত’ হয়ে থেকে পরিস্থিতি আরও নাজুক করে তুলছেন।
শেখ
হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে রিজভী বলেন, দেশে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ বেড়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার একমাত্র ভরসা হলো বিদেশে পাচার করা টাকা, যার মাধ্যমে দেশে নানা ঘটনা ঘটিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চলছে।
তিনি
দাবি করেন, প্রশাসনের এক শ্রেণির সহযোগিতায়
আওয়ামী লীগ ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় ঝটিকা মিছিল করে এবং বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের
নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘরে হামলা চালাচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি ভাস্কর মানবেন্দ্র ঘোষের মানিকগঞ্জের বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা তুলে ধরেন।
এ
সময় তিনি বলেন, কিছু পক্ষ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়, তাদের নেপথ্য মদদ ছাড়া এই ফ্যাসিস্ট অপশক্তি
এতদূর এগোতে পারত না।
রিজভী
আরও দাবি করেন, আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে ২৮ লাখ কোটি
টাকা পাচার হলেও সেইসব অপরাধীরা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। তাদের সিন্ডিকেট হাট-বাজার, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সবখানেই সক্রিয়।
সংবাদ
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান
সোহেল, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।