বিএনপির
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শের-ই-বাংলা এ
কে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে শের-ই-বাংলাকে উপমহাদেশের
এক অনন্য, প্রজ্ঞাবান এবং বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি লেখেন, জাতীয় নেতা শের-ই-বাংলা এ
কে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তার অক্ষয়-অমলিন স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
তারেক
রহমান আরও উল্লেখ করেন, শের-ই-বাংলা এ
কে ফজলুল হক ছিলেন দেশের
গণমানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে জীবনভর সংগ্রামী। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে তার বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। তিনি রাজনীতি, সমাজ, শিক্ষা, কৃষি সহ দেশের সামগ্রিক
অগ্রগতিতে অসামান্য অবদান রেখেছেন।
-680e37a108569.png)
তারেক
রহমান বলেন, শের-ই-বাংলা কৃষকদের
জন্য ঋণ সালিশি বোর্ড
গঠন করেন এবং বাংলার শোষিত কৃষক সমাজকে এক দুর্দিনের শেষ
সীমা থেকে উদ্ধার করেন। বঙ্গীয় চাকরি নিয়োগবিধি, প্রজাস্বত্ব আইন, মহাজনি আইন এবং দোকান কর্মচারী আইন প্রণয়ন করে কৃষক-শ্রমিকের ভাগ্য উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
তারেক
রহমান আরও বলেন, আমাদের জাতীয় ইতিহাসে শের-ই-বাংলা এ
কে ফজলুল হক ছিলেন এক
অনন্য প্রতিভার অধিকারী। তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা এবং মানবিকতা আগামী প্রজন্মের রাজনীতিবিদদের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, শের-ই-বাংলা ফজলুল
হকের অবদান এদেশের মানুষের মন থেকে কোনোদিনও
ভুলে যাবে না এবং তার
নাম ইতিহাসের পাতায় চিরকাল স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
এছাড়া,
শের-ই-বাংলা এ
কে ফজলুল হক ১৮৭৩ সালের
২৬ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল মৃত্যুবরণ
করেন। তিনি রাজনৈতিক জীবনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন, যার মধ্যে কলকাতার মেয়র, অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী, পূর্ববঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের মতো পদ অন্তর্ভুক্ত। ১৯৫৪
সালে যুক্তফ্রন্ট গঠনে শের-ই-বাংলা ছিলেন
অন্যতম নেতা এবং বাংলায় কৃষক প্রজা পার্টির মাধ্যমে তিনি নিম্নবর্গীয় কৃষকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।