জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিনকে “বিচ্ছিন্ন ঘটনা” হিসেবে মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
আজ(১ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি দাবি করেন, চিন্ময়ের জামিন ভারতীয় আধিপত্যবাদের চাপের ফল হতে পারে। তিনি লেখেন,চিন্ময়ের জামিনকে কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করি না। চিন্ময়ের ঘটনার শুরু থেকেই ভারতীয় আধিপত্যবাদ বাংলাদেশের ওপর অন্যায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছে। চিন্ময়ের জামিনও কি সেই চাপের কাছে নতি স্বীকার করেই দেওয়া হলো?
-6813947573056.jpg)
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন,ইন্টেরিম সাবধান! আলিফের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে ভারতীয় আগ্রাসনের রাস্তা উন্মুক্ত করলে পরিণতি ভালো হবে না।
গত ২৫ অক্টোবর, চট্টগ্রামে চিন্ময়ের নেতৃত্বে সনাতনী সম্প্রদায়ের একটি বড় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর কয়েকদিন পর, ৩১ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় আরও ১৮ জনকে আসামি করা হয়।
পরে, ২৫ নভেম্বর ঢাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
চিন্ময়ের গ্রেপ্তারের দিন চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে আইনজীবী ও তার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন। এরপর থেকে তিনি কারাবন্দি।
১ মে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে জামিন দেন এবং তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলকে যথাযথ ঘোষণা করেন।
তবে একই দিন সন্ধ্যায় আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের নেতৃত্বাধীন আদালত হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ স্থগিত করেন। পরবর্তীতে ওই আদেশ প্রত্যাহার করে ৪ মে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালত গত ২ জানুয়ারি তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছিলেন। এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন।