গাজীপুরে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের
৫৪ জন নেতাকর্মীকে আটক
করেছে পুলিশ। হামলার ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন, জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হক।
রোববার (৪
মে) রাতের ওই হামলার পর
আজ (৫ মে) বেলা
১১টার দিকে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশের একাধিক দল হামলাকারীদের শনাক্ত
করে আটকের জন্য অভিযান শুরু করে। এ পর্যন্ত বিভিন্ন
থানা ও গোয়েন্দা শাখা
মিলিয়ে মোট ৫৪ জনকে আটক
করা হয়েছে।
পুলিশ
সূত্রে জানা গেছে, আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন গাজীপুর মহানগরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের
যুবলীগ নেতা নিজাম উদ্দিন এবং শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি মাসুম আহমেদ ওরফে দিপু, যাকে কাশিমপুর থানা এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।
হামলাকারীদের
গ্রেপ্তার অভিযানের সর্বশেষ তথ্যমতে গাজীপুর সদর থানা থেকে ৫ জন, বাসন থানা থেকে ১২ জন, কোনাবাড়ী থানা থেকে ৬ জন, কাশিমপুর
থানা থেকে ২ জন, গাছা থানা থেকে ৪ জন, পুবাইল
থানা ৫ জন, টঙ্গী
পূর্ব থানা থেকে ১ জন, টঙ্গী
পশ্চিম থানা থেকে ৩ জন, ডিবি
উত্তর থেকে ৯ জন এবং
ডিবি দক্ষিণ থেকে ০৭ জন। সর্বমোট
৫৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জাতীয়
নাগরিক পার্টি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র
আন্দোলনের নেতারা এই হামলার জন্য
ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে দায়ী
করেছেন। জেলা কমিটির মুখপাত্র ও সমন্বয়ক বশির
আহমেদ অপু বলেন, “ঢাকা থেকে ফেরার পথে চন্দনা চৌরাস্তা ভোগড়া বাইপাস এলাকায় ১০-১২টি মোটরসাইকেলে
এসে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। এতে হাসনাত আব্দুল্লাহ আহত হন।
এনসিপির
গাজীপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন,
এই বর্বর হামলা আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট। ছাত্রলীগ ও যুবলীগ এর
সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। রাষ্ট্র যদি হামলাকারীদের আড়াল করে, তাহলে আমরা রাজপথেই এর জবাব দেবো।