বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অভিযোগ করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে নানা ইস্যু তৈরি করে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করছে এবং আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আজ (৯ মে) খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে এক শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সদ্য নির্বাচিত পোপকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও স্বাগতও জানান তিনি।
তারেক রহমান বলেন, দেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে সংবিধান বারবার দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, অতীতে শেখ হাসিনা সংবিধানকে দলীয় সংবিধানে রূপান্তর করে স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন।
বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি বলেন, দলটি শুরু থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন জানিয়েছে। তবে বর্তমান সরকার সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারছে কিনা—তা নিয়ে জনমনে ব্যাপক সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।
সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগের প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করে সরকার স্বৈরাচারদের নিরাপদে দেশত্যাগের সুযোগ করে দিচ্ছে। তিনি এই কৌশলের সঙ্গে শেখ হাসিনার অতীত দেশত্যাগের ঘটনাকেও তুলনা করেন।
গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তারেক রহমান বলেন, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত একটি সরকারই পারে দেশের প্রকৃত গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে। তার ভাষায়, “দেশ কোনো ব্যক্তি কিংবা দলের সম্পত্তি নয়, এটি জনগণের।”
তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, স্বৈরাচার বিদায়ের পর একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে যেন কোনো ষড়যন্ত্র বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক পথ থেকে বিচ্যুত করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার অনুরোধও জানান তিনি।