হেফাজতে
ইসলাম নারী বিদ্বেষী নয়, বরং নারীর ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির মহাসচিব সাজিদুর রহমান। তিনি বলেন, রাষ্ট্র যদি সেই অধিকার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়, তবে সেই দায়িত্ব হেফাজত ইসলাম গ্রহণ করবে।
শুক্রবার
(২৩ মে) জুমার নামাজের পর রাজধানীতে হেফাজতে
ইসলামের ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে এক বিক্ষোভ সমাবেশ
ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে ‘নারী সংস্কার কমিশন’ বাতিল, শাপলা চত্বর এবং জুলাইসহ অতীতের সকল গণহত্যার বিচার, হেফাজতের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহার এবং ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিমদের
উপর চলমান ‘গণহত্যা’ বন্ধের দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে
বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আগামী জুন মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি না হলে কঠোর
কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। বক্তারা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মতপার্থক্য ভুলে দেশের স্বার্থে ‘জুলাইয়ের চেতনা’ পুনর্জাগরণের আহ্বান জানান।
হেফাজতের
পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, তারা নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কার ও একটি সুনির্দিষ্ট
রোডম্যাপ দাবি করে। নেতারা অভিযোগ করেন, দেশে ফ্যাসিবাদের দোসররা জাতীয় ঐক্য নস্যাৎ করার চেষ্টা করছে, এ অবস্থায় বিএনপি
ও জামায়াতকে ‘গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব’ পালন করতে হবে।
সংগঠনটির
নেতারা বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ড.
মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায় হেফাজত ইসলাম।