বিএনপির
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সব মামলা থেকে
খালাস পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ‘সাদা দল’। সংগঠনটি
আশা প্রকাশ করেছে, তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরে জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবেন।
এক
যৌথ বিবৃতিতে সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান
খান, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম
এবং অধ্যাপক ড. মো. আবুল
কালাম সরকার বলেন, “জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তারেক রহমান ও তার স্ত্রী
বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জুবাইদা রহমান গত ২৮ মে
হাইকোর্টে খালাস পেয়েছেন। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, শেখ হাসিনার শাসনামলে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন।”
বিবৃতিতে
নেতৃবৃন্দ আরও উল্লেখ করেন, “২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি
দমন কমিশন (দুদক) তারেক রহমান ও অন্যদের বিরুদ্ধে
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত
সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে। ২০০৮ সালে মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় এবং ২০২৩
সালের ২ আগস্ট ঢাকা
মহানগরের সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত রায়
ঘোষণা করেন। সেই রায়ে তারেক রহমানকে দুটি ধারায় মোট ৯ বছরের ও
জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড
এবং অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।”
তারা
বলেন, “এই মামলার বিচার
প্রক্রিয়ায় একাধিক অনিয়ম ছিল। মাত্র ২১ দিনে রাতের
অন্ধকারে মোমবাতি জ্বালিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়, যা পুরোপুরি বেআইনি।
এসব প্রক্রিয়া থেকেই স্পষ্ট হয়, এটি ছিল রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল।”
বিবৃতিতে
জানানো হয়, মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য ৫৮৭ দিন বিলম্বে করা আবেদন হাইকোর্ট গত ১৩ মে
গ্রহণ করে। এরপর ১৪ মে আপিল
শুনানির জন্য গ্রহণ করে জামিন মঞ্জুর করা হয়। শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করে তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানকে
খালাস দেন। আদালত রায়ে মন্তব্য করেন, “এই মামলাটি ছিল
রাজনৈতিক নিপীড়ন ও দূরভিসন্ধিমূলক। তাই তাদের
সুনাম ও মর্যাদা ফিরিয়ে
দেওয়া উচিত।”
বিবৃতির
শেষাংশে সাদা দলের শিক্ষকরা বলেন, “আমরা শিক্ষক সমাজ হিসেবে এই রায়ের মাধ্যমে
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় আনন্দিত এবং মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আশা করি, তারেক রহমান খুব শিগগিরই দেশে ফিরে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার
প্রতিষ্ঠায় আবারও ভূমিকা রাখবেন।”