রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বৈধ ঘোষণা করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। দলটির নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তবে জামায়াতের পুরোনো প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ফিরে পাবে কি না, সে বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি আদালত। প্রতীকসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
রোববার (১ জুন) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদেশে অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।
রায়ের সময় আদালতে জামায়াতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন ও ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম।
জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০০৯ সালে, যখন দলটির নিবন্ধন চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট দায়ের করা হয়। রিটটি করেন তরীকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ এবং সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ মোট ২৫ জন। ওই রিটের ভিত্তিতে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের বেঞ্চ জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেন।
এরপর ২০১৮ সালের অক্টোবরে তৎকালীন নির্বাচন কমিশন জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরপর থেকে দলটি নিবন্ধন ফিরে পেতে আইনি লড়াই চালিয়ে আসছিল।
সবশেষ ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, হাসিনা সরকারের পতনের দুই মাস পর জামায়াতের খারিজ হওয়া আপিল আবেদন পুনরুজ্জীবিত করার আদেশ দেয় আপিল বিভাগ। এর ধারাবাহিকতায় ২০২৫ সালের ১ জুন আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে দলটির নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।