ছবিঃ সংগৃহীত।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে, অথচ এই বাজেটের সঙ্গে আগের সরকারের বাজেটের কোনো পার্থক্য নেই। তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার সরকার যেমন কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছিল, এই সরকারও একই কাজ করেছে। তাহলে পার্থক্য কোথায়?”
মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের উদ্যোগে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে দুস্থদের মধ্যে ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, “এটা তো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, ড. ইউনূসের সরকার। মানুষ জানতে চায়, এই সরকারের হাত দিয়ে কেন খারাপ কাজ হচ্ছে? বাজেটের ২৩ শতাংশ ব্যয় হবে শুধু প্রশাসনের বেতন দিতে, আর সুদের পেছনে যাবে ১৪ শতাংশ। তাহলে গরিব মানুষের জন্য রাখা হয়েছে কী? লাভের গুড় তো পিঁপড়ায় খেয়ে ফেলেছে। জনগণের জন্য কী করলেন?”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপি চায় বাংলাদেশ ভালোভাবে চলুক। দেশে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক। কিন্তু নির্বাচন কবে হবে—এই প্রশ্ন করলে উপদেষ্টারা চুপ থাকেন। একটা সময় ‘সংস্কার’কে সামনে এনে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছিল, এখন সেটাও বলা হয় না।”
সরকারের বাজেট পরিকল্পনার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, “শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বাজেট কম বরাদ্দ রাখা হয়েছে, অথচ এই দুই খাতেই জনগণের চাহিদা বেশি। গরিব মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। ড. ইউনূস ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিলেন, দরিদ্রকে জাদুঘরে পাঠাতে হবে। অথচ এখন তার হাত দিয়ে লুটেরা, ব্যাংক ডাকাতরা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ পাচ্ছে।”
রিজভী অভিযোগ করেন, “দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ড. ইউনূসকে সমর্থন দিয়েছিল, ভেবেছিল তিনি ভালোভাবে দেশ চালাবেন। কিন্তু এখন তার তৈরি বাজেট গরিবকে আরও গরিব করছে। মুদ্রাস্ফীতি কমছে না, বরং মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষের ওপর চাপ বাড়ছে।”
জিয়াউর রহমান সম্পর্কে তিনি বলেন, “তাকে শুধু নেতা বললে চলবে না, তিনি একটি যুগের প্রবর্তক। জনগণ তাকে রাখাল রাজা বলে অভিহিত করেছে। মাইলের পর মাইল হেঁটে তিনি জনগণের দুঃখ-কষ্ট বুঝেছেন, জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “জিয়াউর রহমান এমন একটি সময়ে ক্ষমতায় আসেন, যখন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট চরমে। ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষে মানুষ এক মুঠো ভাতের জন্য হাহাকার করছিল। তিনি ক্ষমতায় এসে খাদ্য ও মাছের উৎপাদন বাড়াতে উদ্যোগ নেন। সারা দেশে খাল খনন, অল্প সুদে কৃষিঋণ প্রদানসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে জাতিকে একটি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করান।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান। আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh