সংস্কার প্রক্রিয়ার নামে অলৌকিক প্রস্তাব উত্থাপন এবং নির্বাচন বিলম্বের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে ঢাকার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “বিচারের জন্য সীমারেখা নির্ধারণ করা উচিত নয়। ন্যায়বিচার নিশ্চিতে প্রয়োজন হলে অপেক্ষা করতে হবে। তবে ‘বিচারের আগে নির্বাচন নয়’— এ ধরনের অবস্থান গ্রহণও সঠিক নয়।”
তিনি অভিযোগ করেন, “গণহত্যা, গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় শেখ হাসিনার বিচার একদিন হবেই। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতের সরকারগুলোও এই বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখবে।”
বিএনপি শুধুমাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, বরং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্দোলন করছে বলেও দাবি করেন তিনি। সালাহউদ্দিন বলেন, “আমরা যুক্তিসম্মতভাবে অতি দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি। ডিসেম্বরই দেরি মনে হচ্ছে, চাইলে এর আগেও নির্বাচন সম্ভব।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কারের কাজ দ্রুত শেষ করে অবিলম্বে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব। তবে এজন্য দরকার জাতীয় ঐক্য অটুট রাখা— যেন কোনো ফাটল না পড়ে।”
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ। তিনি বলেন, “উপদেষ্টা পরিষদে রাজনীতিবিদ নেই, সাধারণ মানুষ তাদের চেনে না। প্রধান উপদেষ্টা নিজেই ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা বলেছিলেন, আমরা চাই তিনি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করুন।”
আন্দালিব বলেন, “সংস্কার আসলে কীসের জন্য? সেটা যেন কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা দলের ক্ষমতায় যাওয়ার প্রক্রিয়া না হয়। অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানাই— নির্বাচন দিন ঘোষণা করুন, তাহলে সবকিছু সঠিক ধারায় ফিরে আসবে।”
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। কোনো হঠকারিতার কারণে যেন ‘জুলাই অভ্যুত্থানের’ অর্জন নষ্ট না হয়। সকল রাজনৈতিক দলকে আস্থায় নিয়ে সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমেই গণতান্ত্রিক উত্তরণ সম্ভব।”