জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, রাজনীতি হতে হবে জনমানুষের দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে পরিচালিত। যারা জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা অনুভব করে, তাদের জন্য রাজনীতিকে সহজ করা হবে। আর যারা জনগণের জন্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে, তাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
সোমবার (৯ জুন) দুপুরে রংপুরের কাউনিয়া মোফাজ্জল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড মেডিকেল স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আমসা) আয়োজিত সম্প্রীতি ও ঐক্য সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আখতার হোসেন বলেন, “বাংলাদেশে এক সময় রাজনীতি মানেই ছিল মারামারি আর সহিংসতা। কিন্তু এখন বাস্তবতা বদলেছে। ২ হাজার শহীদ, হাজারো আহত ও লাখো মানুষের অংশগ্রহণে যে জুলাই অভ্যুত্থান ঘটেছে, সেটি ছিল নতুন বাংলাদেশের সূচনাবিন্দু। সেই বাংলাদেশ হবে জনতার, স্বচ্ছতার ও জবাবদিহিতার। আমরা তেমন একটি রাজনীতি গড়ে তুলতে চাই।”
তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি শাসনব্যবস্থা চাই যেখানে জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণ থাকবে। বাজেট বরাদ্দ কেবল কাগজে নয়, প্রকল্প বাস্তবায়নে বাস্তবতা মিলছে কি না—তা নাগরিকেরাও দেখবে, অডিট করবে। প্রত্যেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহিতার আওতায় আনাই হবে আমাদের রাজনীতির অন্যতম উদ্দেশ্য।”
আখতার হোসেন তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, “আমি যখন বুঝতে শিখেছি, তখন থেকেই অন্যায়, জুলুম, নির্যাতনের বিরুদ্ধে কথা বলে এসেছি। ফ্যাসিবাদি আমলে দীর্ঘ সময় কারাগারে ছিলাম। আমার স্বপ্ন ছিল, একদিন সম্প্রীতি ও ঐক্যের রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হবে। আজ সেই স্বপ্নের ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে গর্ববোধ করছি।”
উত্তরাঞ্চলের উন্নয়ন ও স্বার্থ রক্ষার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের নিজস্ব মতবাদ থাকতে পারে, তবে কাউনিয়া-পীরগাছাসহ সমগ্র উত্তরাঞ্চলের স্বার্থে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মতপার্থক্য যেন উন্নয়নের পথে বাধা না হয়ে দাঁড়ায়।”