ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘ভোটার ও রাজনৈতিক দলগুলো চায়, নির্বাচনে দেশ একটা স্থিতিশীল অবস্থায় থাকুক। সু-শৃঙ্খলভাবে নির্বাচন হোক। যেটার ক্রেডিট সবাই নিতে চায়। যার জন্য এ (নির্বাচনের) বিষয়ে কারও কোনো শঙ্কা থাকার কারণ নেই।’
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার সুসান রাইল। সৌজন্য সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। এরপর বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আমীর খসরু।
নির্বাচনে রোডম্যাপ ও নির্বাচন নিয়ে শঙ্কার কোনো জায়গা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না শঙ্কার জায়গা কিছু নাই। একটা জিনিস বুঝতে হবে, বাংলাদেশে নিরপেক্ষ সরকার অধীনে যখনই নির্বাচন হয়েছে, নির্বাচনের পরিবেশ ভালো ছিল। বিগত দিনগুলোতে আপনারা দেখেছেন।
এটা কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো সবচেয়ে বেশি চায়, স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে চায়। আর ভোটাররা সবচেয়ে বেশি স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে চায়। সুতরাং পুলিশ আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাইরে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ক্ষেত্রটা এমন, যে ভোটাররা এবং রাজনৈতিক দলগুলো চায় একটা স্থিতিশীল অবস্থা থাকুক।’
সংস্কারের বিষয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘সংস্কারের উদ্যোক্তা হচ্ছে বিএনপি। এখন থেকে নয়, অনেক আগে থেকেই। বাংলাদেশের সব সংস্কারের উদ্যোক্তা হচ্ছে বিএনপি। সুতরাং এবারও তাই হয়েছে। আমাদের ভিশন ২০৩০ থেকে শুরু করে ২৭ দফা, ৩১ দফা...। এটা জনগণের কাছে নিয়ে যাওয়া, বাস্তবায়নের জন্য একটা জাতীয় সরকার গঠন করা, এগুলো সব আলোচনায় আসছে। এখন দ্রুত নির্বাচনের দিকে যাওয়াটাই, দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা? সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আলোচনা হবে এটাই স্বাভাবিক। এটা উঠে এসেছে যে, বাংলাদেশের মানুষ বিগত তিন-চারটা নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে নাই। সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে ভোট দেওয়ার জন্য।
বিশেষ করে নতুন জেনারেশন, যাদের বয়স ৩০ বা ৩০ এর আশেপাশে, তারা তো ভোটাধিকার মোটেই প্রয়োগ করতে পারে নাই। সারা দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। সুতরাং আমরা মনে করছি, ওরাও মনে করছে, সবাই আগামী নির্বাচনে ভোটার ‘টার্ন আউট’ খুবই ভালো হবে।
জনগণ অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে, আগ্রহের সঙ্গে ভোট কেন্দ্রে যাবে। পুরুষ-মহিলা, সব বয়সের ভোটাররা যাবে এবং একটি ভালো ভোট হবে। নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সরকার নির্বাচিত হবে। যেটা গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে এগিয়ে নেবে।
অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের নির্বাচনে সহযোগিতা করবে জানিয়ে সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে নির্বাচন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, ওটা উঠে আসছে আলোচনায়। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার একটা সহায়তা আছে, ইলেকশন কমিশনকে বড় ধরনের সহায়তা তারা করে। তারা চাচ্ছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন যাতে বাংলাদেশে হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh