সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক বাকযুদ্ধে আলোচনায় চলে এসেছিলেন বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা এবং এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ। তবে তাদের মধ্যে শীতলতা কেটেছে। হাসনাত আবদুল্লাহসহ এনসিপি নেতাদের জন্য উপহার পাঠিয়েছে বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা।
শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের ছতরপুর স্কুল মাঠে ‘নতুন সংবিধান’ নিয়ে আয়োজিত উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপহার পাঠানোর বিষয়টি নিজেই বলেন হাসনাত।
উপহার পেয়ে তিনি তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘আমাদের সঙ্গে একটা মনোমালিন্য হয়েছে রুমিন ফারহানার। তিনি অনেকদিন ধরে রাজনীতি করছেন। আমরা উনার এলাকায় আসছি শুনে উনি উনার লোকজন পাঠিয়েছেন। আমাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না খবর নিয়েছেন।
আমাদের জন্য তিনি কিছু উপহারও পাঠিয়েছেন। এটি রাজনীতির জন্য একটি পজিটিভ বার্তা। এটাকে অবশ্য আমাদের স্বাগত জানানো উচিত।’
বিজয়গর উপজেলার ইসলামপুরে বিএনপির সহআন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার পৈতৃক বাড়ি।
উপহার পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন রুমিন ফারহানার পিএস জাকির হোসেন শুভ। তিনি বলেন দলীয় লোকজন এনসিপির নেতাদের খোঁজ নিয়েছেন। পাশাপাশি তাদের জন্য ছানামুখী পাঠানো হয়।
বৈঠকে হাসনাত আবদুল্লাহ আরো বলেন, ‘আমরা ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে কোনো সহিংসতার দিকে ফিরে যেতে চাই না। আমাদের মধ্যে ভিন্নমত থাকবে, ভিন্নমত হচ্ছে গণতন্ত্রের শক্তি।
অন্যদিকে সহিংসতা হচ্ছে গণতন্ত্রের শত্রু। কেউ আমাদের আক্রোশমূলক কথা বলে আমরা গণতান্ত্রিকভাবে তার জবাব দেব। কেউ যদি আমাদের ইতিবাচক বার্তা দেয় আমাদের অবশ্যই গ্রহণ করা উচিত।’
গত ২৪ আগস্ট বিজয়নগরের আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা অভিযোগ করেন, শুনানি করার সময় তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। অন্যদিকে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা বিজয়নগরের বাসিন্দা মো. আতাউল্লাহ অভিযোগ করেন, রুমিন ফারহানা ও তার লোকজনের আক্রমণের শিকার হয়েছেন তিনি।
এদিকে এ ঘটনার পর রুমিন ফারহানাকে বিএনপির আওয়ামী বিষয়ক সম্পাদক বলে মন্তব্য করেন এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ। এর পরিপ্রেক্ষিতে রুমিন ফারহানাও হাসনাত আবদুল্লাহর কয়েকটি পুরনো ছবি পোস্ট করে 'এই সেই ফকিন্নির বাচ্চাটা না' বলে মন্তব্য করেন। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়। যদিও পরে রুমিন ফারহানা তার অনাকাঙ্ক্ষিত শব্দচয়নে কেউ কষ্ট পেলে দুঃখ প্রকাশ করেন।