× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

‘হি কুড রিড দ্য পালস অব দ্য পিপল’

একথা কেবল বঙ্গবন্ধুর জন্যই প্রযোজ্য: আ ক ম মোজাম্মেল হক

সাজেদা হক

০১ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:১২ এএম । আপডেটঃ ০১ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:১৪ এএম

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করলো বাংলাদেশ। সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই স্বপ্নের কতটুকুই বা পূরণ করতে পেরেছি, আর স্বপ্নপূরণের কতটুকু বাকি রয়েছে- তার সঠিক হিসেব এখনও আমাদের করা হয়ে ওঠেনি। বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু, তা পূরণে আমাদের উদ্যোগ যথাযথ ছিলো কি না- এ নিয়ে সংবাদ সারাবেলা কথা বলেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সাথে। সাক্ষাৎকারটিকে নিয়েছেন সংবাদ সারাবেলার অনলাইন ইনচার্জ সাজেদা হক।

করোনার প্রভাব পড়েছে পৃথিবীর সব দেশেই। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম না। বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে কিছুটা বিঘ্ন ঘটেছে ঠিক, তবে আমাদের মন্ত্রণালয়ে এর খুব বেশি প্রভাব করোনা ফেলতে পারেনি। কারণ আমাদের কাজগুলো পূর্বনির্ধারিত, নিয়ম মাফিক চলতেই থাকে। ফলে তথ্য সংগ্রহে তেমন কোন সমস্যা হয়নি আমাদের।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ৩০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। এসবে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ১২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার করা হয়েছে। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ঈদ বোনাস, পহেলা বৈশাখ বোনাস এবং বিশেষ ভাতার ব্যবস্থাও করা হয়েছে, সেই সাথে নিশ্চিত করা হয়েছে শতভাগ চিকিৎসা ব্যবস্থা। নিয়মিত সুযোগসুবিধা অব্যাহত রয়েছে।

এই ৩০ হাজার বীর নিবাস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৫% হারে। উপজেলা ভিত্তিক এই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যানুপাতে ১৫% বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ভাতাপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভেতর থেকে ১৫ ভাগ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এ বছর বীর নিবাস নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবর একই ডিজাইনে নির্মাণ করার প্রকল্পটি চলমান। যাতে করে ১০০ বছর পরে কিংবা আরও পরেও মানুষ বুঝতে পারে যে এটি একটি বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর। একই সাথে আমাদের যত বীর মুক্তিযোদ্ধারা বেঁচে আছেন তাদের যুদ্ধকালীন সময়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে শুরু হচ্ছে নতুন প্রকল্প, বীরের কন্ঠে বীরগাঁথা’। যার জন্য সরকারের প্রায় ৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। শহীদ মিত্রবাহিনীর স্মরণেও নির্মাণ করা হচ্ছে স্মৃতিস্তম্ভ, যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। নির্মাণ করা হচ্ছে অপারেশন জ্যাকপট সিনেমাও।

সেই সাথে আগামীতে কোন মুক্তিযোদ্ধার আবেদন না গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কারণ আমরা মনে করি স্বাধীনতার ৫০ বছরেও যে মুক্তিযোদ্ধা নিবন্ধিত হওযার প্রয়োজন মনে করেননি, তার আর নিবন্ধনের কি কোন প্রয়োজন আছে? আবেদনের দরজাটি ৫০ বছর পর্যন্ত খোলাই ছিলো, আমরা এতোদিন আবেদন নিয়েছি এবং যাচাই-বাছাই শেষে তালিকাভুক্তও করেছি। এই তালিকাভুক্তির বিষয়টি যদি শেষ না হয় তাহলে আমরা মুক্তিযোদ্ধার মোট সংখ্যা গুনবো কিভাবে। কাজেই এর একটা ইতি হওয়া জরুরি। সে কারণেই স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হওয়ার পর নতুন করে কারও আবেদন করার সুযোগ আর থাকছে না। তবে ইতিপূর্বে যদি আবেদন করে থাকে তাহলে তাহলে তার বিষয়টি যদি আপিলে থাকে, সেটির শুনানির সুযোগ আছে।

সেই সাথে বীরাঙ্গনাদের জন্য দরজা খোলা থাকছে। কারণ আমাদের দেশে বীরাঙ্গণারা বলতেই চান না।  আমাদের সমাজ ব্যবস্থা, সামাজিক প্রেক্ষাপট বীরাঙ্গনাদের কথাই বলতে দেয় না। অনেকেই দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগছেন, দ্বিধা-দ্বন্দ্বের কারণে আবেদনই করেননি অনেকেই, সেজন্য বীরাঙ্গনারা তাদের নাম তালিকাভুক্তি সুযোগ পাচ্ছেন। আমরা মনে করি এই যে সামাজিক দ্বিধা কাটিয়ে কেউ যদি সাহস করে সত্য কথাটা বলেন, তাহলে আমরা তাদেরকে তালিকাভুক্ত করে নেবো।
বীর মুক্তিযোদ্ধা কিংবা তার পোষ্যরা যদি কোন সমস্যায় পড়েন বা সমস্যা অনুভব করেন তাহলে সমাধানের জন্য ওয়েব সাইটে নির্দিষ্ট কর্মকর্তাদের নাম এবং নাম্বার দেওয়া আছে। সেখানে গিয়ে তারা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সমস্ত কিছু জানতে পারবেন। জানতে পারবেন প্রত্যেকটি সমস্যার কি সমাধান নীতিমালায় দেওয়া আছে, সেজন্য সমাধান কে করে দেবেন। তারপরও অনেকেই সরাসরি ফোন করেন, সমস্যা নিয়ে এখানে চলে আসেন, এমন কেউ আসলে আমরা সরাসরি যতটুকু সাহায্য করা প্রয়োজন তা করি এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেই।

১৯৫৭ সালে আমি অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। সে বছর প্রথম দেখা হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে। উনি আমাদের জয়দেবপুর সদরে গিয়েছিলেন। তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, পূর্ব পাকিস্তানের মূখ্যমন্ত্রী ছিলেন আতাউর রহমান খানসহ বঙ্গবন্ধু উপস্থিত হয়েছিলেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে। আমি তখন ছাত্র, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সাহেবকে পাখার বাতাস দেওয়ার দায়িত্ব পরেছিলো আমার উপর। তখন তো আর ফ্যানের ব্যবস্থা ছিলো না, হাত পাখাই একমাত্র ভরসা ছিলো। তাঁর পাশেই বসা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

আমার মামাতো ভাই ঢাকা আওয়ামী লীগের সভাপতি, উনি বঙ্গবন্ধুর সহকর্মী ছিলেন। সেদিন আমি প্রথম দেখি। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে আমার দেখা হয় ১৯৬২ সালে। এরপর থেকে আমি বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ট ভক্ত এবং কর্মী হিসেবে নিয়মিত যোগাযোগে ছিলাম। ৬২ সালে ওনার বাসভবনে যখন দ্বিতীয়বার দেখা হলো, আমি যখন ওনাকে সেই ৫৭ সালের কথা মনে করিয়ে দিলাম, উনি সাথে সাথে চিনে ফেলেছিলেন। এরপর আর তিনি আমাকে সবসময় স্নেহই করে গেছেন।

মূলত শেখ মনি ভাই ছিলেন সেসময় ছাত্রলীগের জেনারেল সেক্রেটারি। তখন আমি জগন্নাথ কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে মিটিং-মিছিলে থাকি। ১৯৬২ এর আব্দুর রহমানের শিক্ষা কমিশন বিরোধী যে আন্দোলন, সে আন্দোলনে আমরা সার্বক্ষণিক কর্মী ছিলাম মাঠে। মনি ভাই আমাদের নেতা আর আমরা তার কর্মীবাহিনী। তো মাঝে মাঝেই মনি ভাইয়ের সাথে দেখা করতে যেতাম, তখন বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা হতো।

বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় গুন ছিলো, তিনি খুব সহজেই মানুষকে বুঝতে পারতেন। ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে, ‘হি কুড রিড দ্য পালস অব দ্য পিপল’। এই কথাটা বঙ্গবন্ধুর জন্যই প্রযোজ্য। একটা মানুষকে দেখলেই উনি বলে দিতে পারতেন যে কেন আসছে। আমরা দেখছি যে মানুষ তাকে কি বলতে পারে, তা তিনি দেখেই বলে দিতে পারতেন।

আমরা প্রায় প্রতিদিন তার বাসায় যেতাম। প্রতিদিন যে কথা হতো তা নয়, তবে দেখা হতো প্রতিদিনই। ওনার বাসায় সাক্ষাৎকারের জন্য একটা রুম ছিলো। প্রতিদিন উনি সবারসাথে দেখা করতেন, হোক তারা ১০০ জন কিংবা ২০০ জন। সবার সাথেই কথা বলতেন বঙ্গবন্ধু। সবার কথা শুনে সব সমস্যার সমাধান করে দিতেন।

১৯৭৫ সালের ৪টা আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সাথে আমার শেষ দেখা হয়েছে। সেদিন আমরা অনেক কথা বলেছি বঙ্গবন্ধুর সাথে। আলোচনার একটা পর্যায়ে গিয়ে বঙ্গবন্ধু বললেন, চল বাসায় চলে যাবো। বাসা মানে বর্তমানে যেটা গণভবন, প্রধানমন্ত্রী থাকেন সেখানে অফিস করতেন বঙ্গবন্ধু। সেখানে একটা পুকুর ছিলো, সেখানে বঙ্গবন্ধু যেতেই মনে হচ্ছিলো যেন, সবগুলো মাছ ছুটে আসতেছে বঙ্গবন্ধুর কাছে। উনি কিন্তু কোন শব্দও করেননি। তারপর উনি মাছগুলোকে খাবার দিলেন, আর মাছগুলো লাফিয়ে-ঝাপিয়ে খাবারগুলো খাচ্ছে। হঠাৎ খেয়াল করলাম যে, সবগুলো মাছ উল্টা দিকে চলে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে ফিরে যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু তখন পেছনের দিকে তাকালেন। দেখলেন, খন্দকার মোস্তাক। তখন বঙ্গবন্ধু মোস্তাককে বললেন, তুই যে একটা বেঈমান, তা এই মাছেও বোঝে। বঙ্গবন্ধুর হাতে একটা লাঠির মতো ছিলো। সেই লাঠি দিয়ে মোস্তাকের মাথার টুপিটাকে একটু উঠিয়ে আবার বসিয়ে দিয়ে বললেন, তোর টুপির নিচে তো কোন ফেরেশতা নাই, বসে আছে তো সব শয়তান। সব শুনে মোস্তাক কাচুমাচু করে কয়, আরে মুজিব, কি যে বলে! মোস্তাককে তখন বঙ্গবন্ধু বললেন, তুই যে একটা বেঈমান, এই যে দেখ, অবলা মাছগুলোও বুঝতে পারে।

১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট পরবর্তী প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করেছি ছোট আকারেই। আমাদের জেলাতে ৫-৭ জায়গাতেই ছাত্রলীগের নেতারা মিছিল করেছে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে তখন, বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছে, এমন একটা পরিস্থিতি যে থানায় থানায় চলে যায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিডিআর। তারা যেভাবে অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়া শুরু করেছে, তখন মানুষের মধ্যে একটা ভীতি কাজ করেছে। সবাই ভেবেছে যে, বঙ্গবন্ধুকে যারা স্বপরিবারে হত্যা করতে পারে, তাদের দ্বারা সব সম্ভব, আমরা তাদের কাছে কিছুই না। সেজন্য মানুষ ভয়টা বেশি পেয়েছে। এই পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডটি মানুষকে ‘টাস্কি’ লাগিয়ে দিয়েছিলো। এইভাবে বিডিআর-পুলিশবাহিনী-সেনাবাহিনী দিয়ে অস্ত্রের মহড়া দেখিয়ে মানুষকে এতো মবিলাইজ করে ফেলেছিলো যে, মানুষ তখন স্তম্বিত হয়ে গিয়েছিলো। আর একটা বিষয় ছিলো, যোগাযোগ করার মাধ্যম এতো সহজ ছিলো না।

একটা গ্যাপ তো ছিলোই। বাকশাল করার কারনে বঙ্গবন্ধু তখন আওয়ামী লীগের কমিটিকেই বিলুপ্ত ঘোষণা করেছিলেন। কোন পর্যায়েই কোন কমিটি ছিলো না। কমিটি থাকলে নেতৃত্ব এবং হুকুম দেওয়ার যে দায়িত্বটা থাকে তা আর কারও মধ্যে ছিলো না। আওয়ামী লীগ বিলুপ্ত, বাকশাল গঠন করা হয়েছে কিন্তু জেলা উপজেলায় কোন কমিটি তখনও তৈরি হয়নি। সেজন্য একটা রাজনৈতিক শুণ্যতা ছিলো। এই যে রাজনৈতিক কঠিন শুণ্যতা, সেই শুণ্যতার সুযোগটাও তারা নিয়েছে।
যদি এখন প্রশ্ন করেন, এই বাংলাদেশ কি বঙ্গবন্ধুর সেই সোনার বাংলাদেশ? তাহলে আমি বলবো, না, এই বাংলাদেশ, সেই সোনার বাংলা না। কারণ এই ৫০ বছরের মধ্যে আওয়ামী লীগ মাত্র ২১ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। বঙ্গবন্ধু ছিলেন সাড়ে তিন বছর আর তাঁর কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা আছেন  সাড়ে ১৭ বছর। আর ২৯ বছর ক্ষমতায় ছিলো স্বাধীনতা বিরোধীরা। আর এই ২৯ বছরে বাংলাদেশকে তারা একটি অকার্যকর, ব্যর্থ রাষ্ট্র করার জন্য যা যা করার প্রয়োজন সব করেছে।

বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট যখন হত্যা করে তখন বাংলাদেশের চবৎ ঈধঢ়রঃধষ ওহপড়সব ছিলো, ১৯৭৬ সালে তা কততে দাঁড়িয়েছে, এই পরিসংখ্যানে দেশ কি এগিয়েছে, নাকি পিছিয়েছে? উন্নয়ন সূচকগুলো যদি লক্ষ্য করেন, সেখানে প্রবৃদ্ধির হার কত? বঙ্গবন্ধু ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় প্রবৃদ্ধি ছিলো ১০% এর উপরে, পরবর্তীতে তা ৪% এরও নিচে নেমে আসে।

তারপরও একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি সন্তোষ প্রকাশ করি এই কারণে যে, পরাজিত শক্তিকে আমরা আবার পরাজিত করতে পেরেছি। এদেশের মানুষকে একত্রিত করে আবারও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পেরেছি, বিশেষ করে প্রধান যারা, তাদের সকলের। বঙ্গবন্ধুকে যারা স্বপরিবারে হত্যা করেছে, তাদের একটা অংশের বিচার সম্পন্ন হয়েছে। সংবিধানকে আমরা পুনরায় ফেরত আনতে পেরেছি, দেশের অর্থনীতিকে সচল করতে পেরেছি এবং পৃথিবীতে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে। কাজেই একটা তো পরিতৃপ্তি  অবশ্যই আছে।

তবে খারাপ লাগে যখন দেখি স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনও স্বগর্বে এখানে-সেখানে দাপটের সাথে ঘুরে বেড়ায়। তারপরও আমি মনে করি স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেই অপশক্তির মৃত্যু হবেই। মিথ্যা, অসত্যের পতন হবেই। তবে ওদের পাকিস্তানি আমলে ২৩ বছর, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২৯ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলো। এই যে ৫২ বছরের যে দীর্ঘ সময়, সে সময়ে তাদের শিকড় এতো গভীরে পৌঁছে গেছে যে ইচ্ছে করলেই এক ঘণ্টায় বা একদিনে, এক মাসে, এক বছরে উপড়ে ফেলা সম্ভব নয়। এজন্য সময় লাগবেই। আমরা সেই আলোকিত সময়ের অপেক্ষাতেই আছি, বলতে পারেন সেই আলোকিত সময়ের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি।





Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.