× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

নতুন বছরের ডাক ২০২২

রঞ্জন মল্লিক

০৩ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:১৬ এএম

২০২১ ইংরেজী বর্ষের বিদায়। ২০২২ ইংরেজী বর্ষের আবির্ভাব। নতুন বছরের দ্বিতীয় দিন, আজ রবিবার।  ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের পর এভাবেই পঞ্চাশটি বছর চড়াই-উতরায়ের মধ্য দিয়ে পার করেছে বাংলাদেশ। প্রতিটি বছর আসে নতুন সূর্য নিয়ে, নতুন আশা নিয়ে, নতুন স্বপ্ন ও সম্ভাবনা নিয়ে। আর স্বপ্নের বাস্তবায়নের মধ্যদিয়েই  আসে  দশের ও দেশের সমৃদ্ধি। প্রশ্ন হলো, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে কারা।  উত্তর কঠিন নয়, যারা ক্ষমতায় থাকেন, যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেন, যারা প্রশাসন চালায় তাদের হাত দিয়েই প্রকৃত স্বপ্নের বাস্তবায়ন হয়। অর্থাৎ দেশের নেতা, নেতৃত্ব, মন্ত্রিপরিষদ, প্রশাসন, আমলা এরাই  স্বপ্নের বাস্তবায়ন করেন। তারা নিত্য নতুন পথের সৃষ্টি করে রাষ্ট্র পরিচালনা করে। আর জনগণ তার সুফল ভোগ করে এবং রাষ্ট্রকে কর্মক্ষেত্রে সেবা দিয়ে তার প্রতিদান ফিরিয়ে  দেয়। কিš‘ যদি এই দুইয়ের মধ্যে গন্ডগোল বাঁধে সেক্ষেত্রে দেশের জনগণের দুর্দশা বাড়ে, জনগণ রুষ্ট হন, সরকারের প্রতি জনগনের আস্থা কমতে থাকে।

পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের অর্জন অনেক। তবে সে অর্জনের সুফল এখনো প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় সফলভাবে পৌঁছেনি। এই না পৌঁছানোর কারণ কি? রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা অনেক গুলো কারণের মধ্যে অনিয়ম ও দুর্নীতিকে বড় কারণ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। ব্রিটিশ ঐতিহাসিক ও দার্শনিক আর্নল্ড জে টয়েনবী একটি রাষ্ট্রের পরিচালনা বা উন্নয়ন কিভাবে হবে তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে  বলেছেন,  একটি দেশ, জনসমষ্টি বা রাষ্ট্রের সংখ্যালঘু বুদ্ধিমান সম্প্রদায় নেতৃত্ব দিবে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের উপর, তবেই ওই দেশ বা রাষ্ট্র উন্নতির শিখরে পৌঁছাবে।  এখানে সংখ্যালঘু বুদ্ধিমান  শ্রেণি বলতে বুঝিয়েছেন-ওই দেশের মুষ্টিমেয় বুদ্ধিমান লোক,  যাদের কথা বা আদেশ মান্য করতে বাধ্য ওই দেশের জনগণ।  দার্শনিক টয়েনবী মুষ্টিমেয় সংখ্যালঘু বুদ্ধিমান লোক বলতে মূলত: নির্দেশ করেছেন, ওই ব্যক্তি ব্যক্তিবর্গ হবেন উন্নত মেধাসম্পন্ন, বিচক্ষণ, চতুর, প্রত্যুৎপন্নমতি অর্থাৎ যাঁরা সাধারণ লোকের চেয়ে  মেধায় ও মননে উন্নত। এরা  দেশের সমগ্র জনগণ নিয়ে ভাবেন বা চিন্তা করেন। এই সামগ্রিক চিন্তা বা ভাবনাটাই ওই জাতির উন্নয়নের মাইল ফলক হিসেবে চিহ্নিত।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সূচকে ২০১৯ সালে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। কিন্তু আয় বৈষম্য সর্বত্রই রয়ে গেছে। ফলে  উন্নয়নের এই ছোঁয়া সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় আদৌ পৌঁছেছে কিনা তা সন্দেহ কারণ বটে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত চেষ্টা করছেন সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন আনয়নে। তাঁর প্রচেষ্টা ও ভালোবাসার কমতি নেই। তবে গতি অনেক সময়ই স্থবির হয়ে যায়, যাদের দিয়ে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করাবেন তারা যদি অসৎ হয়।

সততা ও জবাবদিহিতা আমাদের সমাজে আজ বড় অভাব। অনেকেই দেখি ব্যক্তিজীবন নিয়ে ব্যস্ত। যে ব্যক্তি বা কর্মকর্তা  ঘুষ-উৎকোচ দিয়ে চাকুরির সংস্থান করে, সে আর যাই হোক দেশ প্রেমিক হতে পারে না। প্রথমত: তার মেধার যোগ্যতা নেই, দ্বিতীয়ত: সে প্রদেয় উৎকোচের টাকা তোলার জন্য দ্বিগুন  বেগে ঘুষ  খেতে শুরু করেন বা দুর্নীতির সাথে যুক্ত হন। যে অফিসার বা কর্মকর্তা ঘুষ খান, তিনি যদি কোন বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির আসনে বসে বক্তৃতায় ছাত্রদের সৎ হতে উপদেশ দেন সেটা ভুতের মুখে রাম নামের মতো শোনায় কি? একবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্ভবত: ১৯৯৩ সাল হবে, আমি তখন ছাত্র,  মুক্তমঞ্চে এক অনুষ্ঠানে দুর্নীতিবাজ এক এম.পি ও এক সচিব এসেছিলেন। তারা যখন বক্তৃতা দেওয়া শুরু করেন তখন ছাত্ররা এমন জোরে জোরে হাততালি দেওয়া শুরু করল যে তারা বক্তৃতা শেষ না করেই চলে যেতে বাধ্য হলেন। সত্যিকার অর্থে বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রদের পক্ষেই  প্রতিবাদ করা সম্ভব।  এ ব্যাপারে আমার পর্যবেক্ষণ হলো টয়েনবীর যে দর্শন বা ফরমুলার কথা আমরা বলেছি, তা আমাদের সমাজে অচল। মুষ্টিমেয় বুদ্ধিমান শ্রেণি সরকার কাঠামোয় অনুপস্থিত বা তাদের বিচরণ সামান্যই। তার বদলে ধীরে ধীরে স্থান দখল করেছে অশুভ শক্তি। এই অশুভ শক্তির দাপটে আজ জনগণ দিশেহারা।

শিশুপাঠ্য বাঘ ও খরগোসের গল্পটি সবার মনে আছে নিশ্চয়। শিয়াল যখন বনের মধ্যে সভা করে প্রথম দিনের বাঘের খোরাক  হিসেবে খরগোসকে  প্রেরণ করে তখন খরগোস বিচলিত না হয়ে  তার বুদ্ধিকে কাজে লাগায়। খরগোস বাঘের কাছে দেড়িতে  পৌছায়। বাঘ তখন ক্ষুধায় অস্থির, তারমধ্যে খরগোসের মতো ছোট খাবার। বাঘ দেড়ির কারণ জিজ্ঞাসা করলে বুদ্ধিদীপ্ত খরগোস বলে এই বনে তার চেয়েও বড় ওস্তাদ রয়ে গেছে, যে পথে তাকে  বাঁধার সৃষ্টি করেছে। ক্ষুধার্ত বাঘ উত্তেজিত হয়ে খরগোসের কথা মতো কুয়োর কাছে যায় এবং কুয়োতে তার প্রতিমূর্তি দেখে লাফিয়ে পড়ে প্রাণত্যাগ করে। এখানে খরগোস টয়েনবীর ফরমুলার সেই  সংখ্যালঘু বুদ্ধিমান প্রাণী, যে সকল প্রাণিকূলকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করেছে। আমাদের সমাজেও সেইসব বুদ্ধিমান লোকের  প্রয়োজন যেখানে দুর্নীতি, যেখানে অন্যায় অবিচার, যেখানে ঘুষ-দুর্নীতি তাদের দমন করা। আজ সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য দুনীর্তি দমন আশু প্রয়োজন।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের দুর্নীতির একটি তথ্যচিত্র তুলে ধরলাম।  প্রতিবছর ট্রেইস ইন্টারন্যাশনাল নামের আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা এ সূচক প্রকাশ করে। সূচকে দেখা যায়: দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের মধ্যে ঘুষের ঝুকির বিচারে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় সর্বো”চ দুর্নীতিগ্রস্থ দেশ, অবস্থান ১৬৭ নম্বরে। প্রথম আফগানিস্তান, অবস্থান ১৭৪ নম্বরে। পাকিস্তান তৃতীয়, অবস্থান ১৫০। চতুর্থ মালদ্বীপ, অবস্থান ১১৮ নম্বরে। নেপাল পঞ্চম, অবস্থান ১১২ নম্বরে। ষষ্ঠ শ্রীলঙ্কা, অবস্থান ৯২। ভারত সপ্তম, অবস্থানন ৮২ এবং অষ্টম ভুটান, অবস্থান ৬২ নম্বরে। এর মানে ঘুষ দেওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ  দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় কম দু দেশ ভুটান। এর আগে বার্লিনে অবস্থিত দুর্নীতি  গবেষণা প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশন্যালের করাপশন পারসেপশন ইনডেক্স ২০২০ প্রকাশিত হয়। সেখানে ১৭৯টি দেশের দুর্নীতি র‌্যাঙ্কিং প্রদত্ত হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের র‌্যাঙ্কিং দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয়, অবস্থান ১৪৬ নম্বরে। আফগানিস্তান প্রথম, রেঙ্কিং ১৬৫ নম্বরে। পাকিস্তানের রেঙ্কিং ১২৪ নম্বরে, নেপালের রেঙ্কিং ১১৭, শ্রীলঙ্কার রেঙ্কিং ৯৪ ও ভারতের রেঙ্কিং ৮৬। টি.আইয়ের মতে বিশে^র সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ নির্ণীত হয়েছে সোমালিয়া ও সাউথ সুদান।

এখানে একটি বিষয় লক্ষনীয় যে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর তুলনামূলক ঘুষ-দুর্নীতির চিত্রে খুবই উল্লেখযোগ্য সামঞ্জস্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। দুটো সূচকই দেখাচ্ছে, বাংলাদেশ এ অঞ্চলের দ্বিতীয় সর্বো”চ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ। বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ঘুষ-দুর্নীতির দিক থেকে এখনো একেবারে খারাপ অবস্থানের দেশগুলোর কাতারেই আছে। উল্লেখ্য যে, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের গবেষণা মোতাবেক দুর্নীতিতে বাংলাদেশ পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল ২০০১-২০০৫ সাল পর্যন্ত।

স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে ১৯৭৩ সাল থেকে দুর্নীতি ক্রমেই বিস্তার লাভ করে, যা বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন ভাষণেও ব্যক্ত করা হয়েছে। তবে তাঁর শাসনামলে রাজনীতি ও আমলাতন্ত্রে কখনো ওটা নিয়মে পরিণত হয়নি। সেনা শাসক জিয়াউর রহমান নিজেকে সততার পরাকাষ্ঠা হিসেবে জাহির করলেও তাঁর সচেতন আশকারা পেয়েই তাঁর শাসনামলে দুর্নীতি ও পুঁজি লুন্ঠন প্রাতিষ্ঠানিকতা অর্জন করেছিল। তাঁর আমল থেকেই এগুলো বাড়তে বাড়তে বর্তমানে সর্বনাশা স্তরে পৌঁছে গেছে। প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির প্রক্রিয়াগুলো স্বৈরাচারি এরশাদের আমলে ব্যাপক বিস্তার লাভ করে। ১৯৯১ সালে ভোটের রাজনীতি চালু হওয়ার পর গত ৩০ বছর একই প্রক্রিয়াগুলো আরও জোরদার হয়েছে।

২০০৯ সালে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত এক যুগে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পালে প্রবল হাওয়া লেগেছে - এতে কোন সন্দেহ নেই। দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে বাড়তে বাড়তে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। করনা ভাইরাসের তান্ডবে ২০১৯-২০২০ এবং ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে প্রবৃদ্ধির  হার কমে গেলেও তা ধনাত্মক রয়ে গেছে, ভারতের ঋনাত্মক প্রবৃদ্ধির তুলনায় প্রশংসনীয়। অর্থনীতির এই গতিশীলতা একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের গুণে অটুট আছে।

একটি সরকার টিকে থাকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্য দিয়ে। এতে জনমনে সন্দেহ দূর হয়। সরকারের আশে পাশে অশুভ চক্রের বিলোপ সাধন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  অগ্রগতিকে বেগবান করবে। নতুবা মাঝপথে ভেস্তে যেতে পারে সব অর্জন। অসাধু ও চাটুকারদের প্রতিটি ক্ষেত্রেই লক্ষণীয় পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে। এরা সরকারের অফিস, আদালত, সেক্রেটারি ও সংসদ থেকে শুরু করে সর্বত্র অবাধে বিচরণ করে। অশুভ চক্রের অগ্রগতি সরকারি গণমাধ্যমগুলোতেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশ বেতারের কিছু কিছু দুর্নীতি পত্রিকায়ও ফাঁস হয়। এভাবে যদি চলতে থাকে তবে সাধারণ মানুষের আস্তার জায়গাটি হারিয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশের আপামোর জনগণ ভালোবাসেন এতে সন্দেহের অবকাশ নেই। টয়েনবীর ফরমুলায় আমরা আবারও ফিরে আসি। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শদাতা, বুদ্ধিদাতা এবং তাঁর কাছাকাছি যারা অবস্থান করেন তারা অবশ্যই নির্মোহ হবেন। আমরা সেইসব  নির্মোহ মানুষের সংযোগ কামনা করি। মুষ্টিমেয় বুদ্ধিমান শ্রেণিই দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন-এটাই প্রত্যাশা। প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ভাষণে বলেছেন, এখনো অনেক মানুষ  দরিদ্রসীমার নীচে বাস করছেন। শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের অভাবে তারা যুগের পর যুগ অতি দরিদ্র জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে , অনুগ্রহ করে তাদের কথা ভাবুন। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে নিজে সংযত হোন-অপরকে সংযত করুন। এই দেশটি আপনার আমার সবার। আপনি চাকুরি পেয়েছেন বিধায় মনে করবেন না-বেতন দিতে সরকার বাধ্য এবং দুর্নীতি করা আপনার অধিকার। দুর্নীতি করে যে অর্থ আপনি উপার্জন করেছেন -সেই অর্থই একদিন আপনার পরিবারে অনর্থের  কারণ হবে-ইহাই চিরন্তন সত্য। তখন শোধরানোর সময় পাবেন না।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.