কক্সবাজারের নাজিরারটেক, টেকনাফ উখিয়া,কুতুবদিয়াসহ মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিমে সাইরার ডেইল এলাকা, ধলঘাটা ও সোনাদিয়া দ্বীপের বালুচরে শুঁটকি উৎপাদনের ধুম পড়েছে। চলতি মাস ধরে এখানে স্থানীয় জেলে ও ব্যবসায়ীরা মাছ শুকাচ্ছেন।
মহেশখালী উপজেলার বালুরচরে অন্তত ১০০টি শুঁটকি মহলে উৎপাদন হচ্ছে শুঁটকি। মহালগুলো থেকে ব্যবসায়ীরা শুঁটকি সরবরাহ করছেন কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ঢাক সহ দেশের নানা অঞ্চলে।
এছাড়া ও নানা রকম শুঁটকিতে চেয়ে আছে চারদিক। আধা কিলোমিটার দূর থেকেই শুঁটকির গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। সেই গন্ধ অনুসরণ করেই পৌঁছে যাই শুঁটকি তৈরির মাচার কাছে। যতদূর চোখ যায় বাঁশের মাচায় শুঁটকি আর শুঁটকি। ধবধবে সাদা শুঁটকির মাঝে বাদামি আর লালচে রঙের শুঁটকির মাচাও দেখা যায়। শীতের এই সময় উপজেলার শুঁটকি পল্লীতে ব্যস্ত সময় পার করছে শ্রমিকরা।
সরেজমিনে দেখা যায় মহেশখালীর নদীর তীরে বালুরচরে এভাবেই শুঁটকি প্রক্রিয়াজাত করছে শ্রমিকরা। প্রতি মৌসুমে কোটি টাকার শুঁটকি প্রক্রিয়াজাত করা হয় এখানে।
যে একবার মহেশখালীর ফরমালিন মুক্ত শুঁটকির প্রকৃত স্বাদ পেয়েছে, সে বার বার পেতে চায় সেই স্বাদ-ঘ্রাণ। দেশি-বিদেশি অতিথি আপ্যায়নেও শুঁটকির সুখ্যাতি রয়েছে।
মাতারবাড়ীর সাইরার ডেইল এলাকার বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন বলেন, এখানকার বালুচর শুঁটকির চর হিসেবে এলাকার সবার পরিচিত। আর শীত মৌসুমকে ঘিরে বালুর চরে শুঁটকি তৈরির হিড়িক পড়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নভেম্বর থেকে শুরু করে এপ্রিল মাস পর্যন্ত শুঁটকি তৈরি করেন মহালে।
শুঁটকি মহালের শ্রমিকরা জানিয়েছেন, এখানকার রূপচাঁদা প্রতি কেজি দুই থেকে তিন হাজার টাকা, বড় চুরি দেড় হাজার, মাঝারি চুরি এক হাজার ও ছোট চুরি ৭শ টাকায় বিক্রি করা হয়। এছাড়া লইট্রা ৮শ থেকে এক হাজার টাকা। ইছা মাছ কেজি ১ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।
শুঁটকি ব্যবসায়ী আবুল কাশেম বলেন, জিনিস পত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়ে গেছে। এছাড়া কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্মকর্তারা বাড়িতে যাওয়ার পথে এখানকার উৎপাদিত বিষমুক্ত শুঁটকি নিয়ে যান।