× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ফেনীর চরাঞ্চালের খাল হঠাৎ পানিশূন্য, বিপাকে কৃষক

এস এম ইউসুফ আলী, ফেনী

২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৪:৩৪ এএম

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বিস্তৃর্ণ চরাঞ্চালে হঠাৎ খালে পানি না থাকা ও সেচ প্রকল্পের পানির লাইন চালু না থাকায় বোরো আবাদ নিয়ে কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। 

মৌসুমের শুরুতে খালে পানি পেয়ে কৃষকরা ধান লাগালেও এখন পানির অভাবে ক্ষেতগুলো ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। 

দু-একদিনের মধ্যে ক্ষেতে পানি দিতে না পারলে জমিতে আবাদ করা ফসল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বারবার অবহিত করেও কোনো তৎপরতা দেখছেন না স্থানীয়  কৃষকরা। 

দ্রুত খালে পানি দেওয়া এবং সেচ প্রকল্পের পানির লাইন চালুর জন্য বারবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্টদের কাছে ধরনা দিয়েও কার্যত কোনো পদক্ষেপ দেখছে না তারা। 

এতে করে আবাদ করা বোরো নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিনাতিপাত করছেন এসব কৃষক। তাদের দাবি -শুধু তাই নয়, চলতি মৌসুমে নানা কারণে এসব এলাকায় সেচ প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত পানির লাইনগুলোও চালু করা যায়নি।

জানা যায়, সোনাগাজী উপজেলায় চলতি মৌসূমে ১৫৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। তারমধ্যে অন্তত ১ হাজার হেক্টর বোরো রয়েছে চরাঞ্চল সোনাগাজী সদর ইউনিয়ন, চরছান্দিয়া ইউনিয়ন ও চরদরবেশ ইউনিয়নের একাংশে। 

এ তিনটি ইউনিয়নে সোনাগাজীর ডাঙ্গি খাল, বামন খালি খাল ও ঝালিয়ার ডাঙ্গি খাল এবং ইরিগেশন প্রকল্পের পানির লাইন থেকে আবাদী জমিতে পানি সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

কৃষকরা জানায়, চলতি মৌসূমের আগেই এসব খাল সংস্কার করা হয়েছে। সংস্কারের সময় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে দায়সারাভাবে কাজ করেছে। 

ওই সময় কৃষকরা খালের গভীরতার সমতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও কেউ কর্ণপাত করেনি। বর্তমানে খালের তলদেশে সমতা না থাকায় চরাঞ্চলের দিকে পানি যাচ্ছে না। 

মৌসুমের শুরুর দিকে পানি পাওয়া গেলেও এখন খালগুলো পুরোপুরি শুকিয়ে গেছে। প্রয়োজন মতো পানি দিতে না পারায় বোরো ক্ষেতও শুকিয়ে গেছে।

মৌসূমের শুরুর দিকে খালে পানি পেয়ে কৃষকরা বোরো আবাদ শুরু করেন। অনেকেই জমিতে ধানের চারা লাগিয়েছেন। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে হঠাৎ খালগুলোতে পানি দেওয়া হচ্ছে না। 

এমতাবস্থায় পানি সংকটে আবাদ করা বোরো জমি শুকিয়ে গেছে। কোথায়ও কোথায়ও জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হতে পারে।

চরছান্দিয়া ইউনিয়নের কৃষক আবু সাইদ রুবেল বলেন, বোরোর সঙ্গে এবার প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে প্রায় ২শত হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন তিনি। খালে পানি না পাওয়ায় ধান ও ভুট্টা ক্ষেতে প্রয়োজন মতো পানি দেওয়া যাচ্ছে না। দ্রুত পানির ব্যবস্থা করা না গেলে কৃষকদের বাঁচানো যাবে না।

উপজেলা পানি ব্যাবস্থাপনা সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেন বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে খালে পানির ব্যবস্থা করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। কিন্তু কার্যত তাদের তৎপরতা দৃশ্যমান না হওয়ায় কৃষকদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে।

সোনাগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উম্মে রুমা বলেন, খালে ১৫দিন ধরে পানি নেই, বিষয়টি আমরা বাপাউবোর কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। তারা বিষয়টি দেখতেছি দেখতেছি বলে সময় ক্ষেপন করছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার সাজ্জাদ হোসেন মজুমদার বলেন, এ ধরনের ঘটনা কৃষকদের জন্য হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পানি সঞ্চালনের দায়িত্ব হলো পানি উন্নয়ন বোর্ডের। তারা কেন হঠাৎ করে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে সেই বিষয়ে আমরাও খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করছি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমার বলেন, পানি সংকটের বিষয়টি আমরা জেনেছি। তবে ঠিক কি কারণে খালে পানি যাচ্ছে না তা খতিয়ে দেখতে হবে। শিগগিরই খাল পরিদর্শন করে পানির ব্যবস্থা করা হবে।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.