× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ভৈরবে ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি দেড় বছরেও চালু হয়নি

মো. ইমরান হোসেন, কিশোরগঞ্জ

০১ মার্চ ২০২৩, ০৮:১৯ এএম

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে প্রায় ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণের দেড় বছরেও চালু না হওয়ায় কোন কাজে আসছেনা। নির্মার্ণের দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও কোন ব্যবসায়ীরা না আসায় রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছে সরকার যে শর্ত দিয়েছে তা মেনে ব্যবসা করা সম্ভব না।

মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা জানান, ব্যবসায়ীরা যেন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এসে ব্যবসা করেন সেজন্য উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবেন। তিনি আশা করছেন ব্যবসায়ীরা আসবে এবং এটি চালু হবে।

ভৈরবে পুরাতন মেঘনা ফেরীঘাটে মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের তত্বাবধানে মৎস্য অধিদপ্তর ২০ কোটি ৭৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় সম্বিলিত নির্মিত করেছে ৪তলা বিশিষ্ট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। ২০১৮ সালে নির্মাণ কাজ শুরু করে ভবন নির্মাণ শেষে ২০২১ সালের ১৩অক্টোবর  আনুষ্ঠানিকভাবে ভবনের উদ্বোাধন করা হয়। অবতরণ কেন্দ্রটি ২৭ শতাংশ ভূমির উপর নির্মিত হয়েছে। ভবনের চর্তুদিকে সীমানা প্রাচীর, অকশন শেড, প্যাকিং শেড, ৩৫টি আড়ত ঘর, ১টি আইসপ্লান্ট, সোলার প্যানেল, কোয়ালিটি কণ্ট্রোলার, গভীর নলকূপ, আইস ক্রাসার ও জেনারেটর ব্যবস্থাসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় নির্মিত মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণের প্রায় ২ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো কোন ব্যবসায়ী অবতরণ কেন্দ্রে ব্যবসা করতে আসছেনা।  অন্যদিকে পুরাতন নৈশ মৎস্য আড়তদার রয়েছে ১শ ৫০ জন। প্রতিটি আড়তের সাথে রয়েছে মাছ রাখার পর্যাপ্ত জায়গা ও প্রসেসিং করার মতো বরফ কলসহ নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা। বর্তমানে অবতরণ কেন্দ্রে ১জন ব্যবস্থাপক, ১জন  ল্যাব কন্টোলার ও ১ জন নাইট গার্ড রয়েছে।

মৎস্য আড়তদার  ইব্রাহিম মিয়া, গোলাম রসুল আনোয়ার হোসেনসহ ব্যবসায়ীরা জানান, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ব্যবসা করতে হলে ২লাখ টাকা অগ্রিম, মাসে ২ হাজার টাকা করে ভাড়া, বিক্রিত মাছের শতকরা দেড় টাকা কমিশন দিতে হবে সরকারকে। এসব শর্তে ব্যবসা করলে তাদের আর্থিকভাবে ক্ষতি হবে। ব্যবসা টিকানো যাবেনা। তাছাড়া অবতরণ কেন্দ্রে মাছ রাখা বা প্রসেসিং করার মতো পর্যাপ্ত জায়গা (মাঠ) নেই।  শুধু তাই নয় আগের মতো মিঠা পানির মাছ এখন আড়তে আসেনা। এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় সরাসরি হাওর-বাওর বা নদীর মাছ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ হয়ে থাকে তাই ব্যবসায় মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। পুরাতন নৈশ মৎস্য আড়তে নিজেদের ভিটে  ৩০/৩৫ বছর যাবত ব্যবসা করায় কোন ভাড়া লাগেনা এবং এখানকার সরবরাহকৃত মাছ বিদেশে কিছুটা রপ্তানী করায় কোন রকমে আড়তদাররা টিকে আছে বলে তারা জানান।

এ বিষয়ে ভৈরব মৎস আড়তদার মালিক  সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন জানান, সরকার যে শর্ত দিয়েছে এসব শর্ত দিয়ে অবতরন কেন্দ্রে গিয়ে ব্যবসা করা সম্ভব না। তাছাড়া এখন আগের মতো আড়তে মাছ আমদানী না হওয়ায় নিজস্ব ভিটে কোন রকমে ব্যবসা করে আমরা টিকে আছি।

এ বিষয়ে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. ছিদ্দিকুর রহমান জানান, ব্যবসায়ীরা যেন অবতরণ কেন্দ্রে এসে ব্যবসা করে সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি ব্যবসায়ীদের সাথে  আলো করে একটি সিদ্ধান্ত নেয়ার পর আমরা আশা করছি। ব্যবসায়ীরা অবতরণ কেন্দ্রে এসে ব্যবসা করবে এবং এটি চালু হবে।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.