× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন

১৩ বছর আগের বাতিল গাড়িতেই চলছে আগুন নেভানোর কাজ

আতিকুর রহমান আতিক, গাইবান্ধা

০৮ নভেম্বর ২০২৩, ১৪:২৭ পিএম

গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন। ১৯৬২ সালে ৮২ শতক জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয় এই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত রয়ে গেছে দ্বিতীয় শ্রেণির ফায়ার স্টেশন হিসেবেই। ১৩ বছর আগে বগুড়ায় বাতিল হওয়া সেই পুরোনো গাড়ি দিয়েই চলছে গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের আগুন নেভানোর কাজ।

গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন সূত্রে জানা যায়, যেকোনো দুর্যোগ ও দুর্ঘটনায় গাইবান্ধার এই স্টেশনটিতে ৪৩০০ লিটার পানি রাখার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রথম কল গাড়ি একটি,  দ্বিতীয় কল পাম্প টানা গাড়ি একটি, ১৮০০ লিটার পানি ধারণ ক্ষমতার একটি ইমারজেন্সি টেন্ডার (ইসুজু) গাড়ি, একটি অ্যাম্বুলেন্স (টয়েটো) ও একটি টোয়িং ভেহিকল (ফোটন) গাড়ি রয়েছে।

এসব গাড়ির মধ্যে পানিবাহী প্রথম কল গাড়িটি অনেক পুরোনো। গাড়িটি বগুড়ায় ২৫ বছর ব্যবহার করার পর ১৩ বছর আগে বাতিল হওয়া সেই গাড়িটি ২০১০ সালে গাইবান্ধা স্টেশনে সংযুক্ত করা হয় ।

বর্তমানে সেই গাড়িটি ব্যবহার করার উপযোগী নয় । এছাড়াও দুর্ঘটনায় আহতদের জরুরি চিকিৎসা সেবা দিতে হাসপাতালে পরিবহনের জন্য অ্যাম্বুলেন্সটিও অনেক পুরোনো এবং আধুনিক নয় । অ্যাম্বুলেন্সটিতে জরুরী সেবার নেই কোনো অক্সিজেনের ব্যবস্থা। 

স্টেশনটিতে ৫ টি গাড়ি থাকলেও সেই গাড়ী চালানোর জন্য নেই সমসংখ্যক চালক । পুরোনো গাড়ী গুলোকে পরিবর্তন করে অ্যাম্বুলেন্স ও আধুনিক গাড়ীসহ  প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট এবং নতুন ভবন চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কয়েক দফায় চিঠি দিয়েও কোন সমাধান হচ্ছে  না।  ফলে গাইবান্ধাবাসীর জন্য স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় এই স্টেশনের দ্বায়িত্বরত সদস্যদের প্রতিনিয়তই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে।

এছাড়াও স্বাধীনতার পুর্বে নির্মাণ করা একটি দ্বিতল ভবন ও একটি একতলা ভবনে ঝুঁকি নিয়েই চলছে থাকার ও দাপ্তরিক কার্যক্রম। 

সরেজমিনে দেখা যায়,  ইট দিয়ে প্রাচীর ঘেরা দুটি দুইতলা ও একটি একতলা ভবন। সামনে পুরোনো দুইতলা ভবনটির নিচ তলায় স্টেশন ভবন (গ্যারেজ) এবং দাপ্তরিক কক্ষ রয়েছে ।

একটি একতলা ভবনে রয়েছে ব্যারাক। পুরোনো এ ভবন দুটি বেশ চকচকে লাল রং করা থাকলেও ভবন গুলোর ভিতরে চোখ পড়লেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার বেশ প্রমাণ মেলে। 

দিন দিন গাইবান্ধা শহরের আয়তন ও জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েই যাচ্ছে। একই সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও বীমা, অফিস-আদালত, ও হাসপাতাল-ক্লিনিক। এতে করে একদিকে যেমন মানুষের জীবনমান উন্নত হচ্ছে, অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্ঘটনার সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এ সমস্ত দুর্যোগ ও দুর্ঘটনায় উদ্ধার তৎপরতার জন্য  গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিস বিভাগের প্রয়োজন অনুযায়ী পর্যাপ্ত সংখ্যক জনবল, গাড়ী ও পাম্পসহ পর্যাপ্ত ইকুইপমেন্ট দরকার  । 

গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনটিতে অফিসার, ফাইটার ও অন্যান্য পদে ২৩ জনসহ মোট ১৭৯ টি মঞ্জুরিকৃত পদ থাকলেও স্টেশনটিতে কর্মরত রয়েছেন ১৬৫ জন। বাকি ১৪টি পদই শূন্য রয়েছে ।

গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার নাসিম রেজা নীলু বলেন, আমাদের প্রথম কল গাড়িটি বগুড়ায় ২৫ বছর ব্যবহার করার পর ১৩ বছর আগে বাতিল হওয়া সেই গাড়িটি ২০১০ সালে গাইবান্ধা স্টেশনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

কিন্তু গাড়িটি বর্তমানে ব্যবহার করার উপযোগী নয় ।

ইমারজেন্সি টেন্ডার গাড়ি ছাড়া এই স্টেশনে এই গাড়িই হচ্ছে একমাত্র পানিবাহী গাড়ি। 

গাড়িটি পুরাতন হওয়ায় অনেক সময় জরুরি দুর্ঘটনায় যাওয়ার পথেই বিকল হয়। সকল সমস্যা তুলে ধরে আমরা প্রতিমাসেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট পাঠাই।  কিন্তু কয়েক দফায় চিঠি দিয়েও কোন সমাধান মিলছে না ।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । সম্পাদক: 01703-137775 । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.