× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বিপাকে মানুষ, নিয়ন্ত্রণে নেই বাজার

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি

১১ নভেম্বর ২০২৩, ১৫:১২ পিএম

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার সবজি, মাছ-মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয়সীমার বাইরে। লাগামহীন ঊর্ধ্বমুখী। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে হাঁসফাঁস বেড়েছে। কাঁচাবাজার ও মুদি দোকানের দ্রব্যাদি যেন সাধারণ মানুষের হাতের নাগালেই আসছে না।

উপজেলার কালীগঞ্জ বাজার, জামালপুর বাসাইর বাজার, দোলান বাজার, নরুন বাজার, নাগরী বাজার, আওড়াখালি বাজার, সাওরাইদ বাজার, মৈশার বাজারসহ কালীগঞ্জের বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, মাছ-মাংস-সবজিসহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়তি থাকায় কেনাকাটায় হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা।

কালীগঞ্জ বাজারের স্বনামধন্য হোটেল ব্যবসায়ী কাউন্সিলর বাদল হোসেন ভূইয়া প্রতিবেদককে জানান, বেগুন প্রতি কেজি ৮০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৪০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা, চিচিঙা ৬০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, গোল আলু পাল্লা ২৯০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সকল পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারনে হোটেলে খাবারের মূল্য বৃদ্ধি না করে পারছি না।

বক্তারপুর এলাকার স্কুল শিক্ষক কামরুল হাসান মোল্লা প্রতিবেদককে জানান, বক্তারপুর মার্কেটে প্রচুর পরিমানে সবজি ও তরিতরকারী আমদানী হয়। স্থানীয় কৃষকরা এ বাজারে প্রচুর পরিমানে কৃষিজাতপণ্য আনলেও পাইকারদের দৌরাত্বের কারনে খুচরা বিক্রি সম্ভব হয় না। এতে করে কৃষকরা ন্যায্য মূল্য হতে বঞ্চিত হচ্ছে এবং ক্রেতাদের অধিক দামে ক্রয় করতে হচ্ছে। এতে করে দ্রব্য সামগ্রী নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে চলে গেছে।

সরেজমিনে জানা যায়, কালীগঞ্জ পৌর বাজারে দাম বেড়েছে মাছ, মুরগি, ডিম, কাঁচামরিচসহ বিভিন্ন সবজির। বাজারে আলু প্রতি কেজি ৬০ টাকা, দেশী পেঁয়াজ ১২০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকা, দেশী আদা ৩৮০ টাকা, দেশী রসুন ২৪০ টাকা, চীনা রসুন ১৬০ টাকা, প্যাকেট আটা ৬৫ টাকা, প্যাকেট ময়দা ৭৫ টাকা, খোলা চিনি ১৩০ টাকা, প্যাকেট চিনি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা দানার মসুর ডাল ১০৫ টাকা ও ছোট দানার মসুর ডাল ১৪০ টাকা কেজি নেওয়া হচ্ছে।

পৌর এলাকার মুরগি ব্যবসায়ী কিরণ জানান, ফারমের মুরগির দামও বেড়েছে। সোনালি মুরগির দাম ৩২০ টাকা, ব্রয়লার ১৮০ টাকা ও কক বা লেয়ার ৩০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি ডিম এখন ৫৫ টাকা। গরুর মাংসের দাম অপরিবর্তীত রয়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা। আর খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১শত থেকে ১২শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে মাছের দামও চড়া। বড় রুই ও কাতল প্রতি কেজি ৩৮০-৪২০ টাকা, বড় তেলাপিয়া মাছ ২২০ টাকা, বোয়াল ৬০০ টাকা, চাষের শিং মাছ ৩৫০ টাকা, কৈ ৩৫০, পাঙাশ ১৮০-২০০ টাকা, চিংড়ি (ছোট) ৬০০টাকা, চিংড়ি (বড়) ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তুমলিয়া ইউনিয়নের সোম বাজার এলাকার খুচরা মুদি দোকানদার মোঃ এমরান হোসেন প্রতিবেদককে বলেন, মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে সকল পণ্যের দাম বাড়লেও এখন তো আর যুদ্ধ নেই। তবে স্থানীয় প্রশাসন নিয়মিত মনিটরিং করলে দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.