সেই হারানো ধুলোমাখা দিন, বুকের ভেতর আজো রঙিন শৈশব ডাকে শুধু আয়, আয়, আয়। নাগরিক কোলাহলে সবাই কুড়িয়ে তোলে শৈশব, সার্বিকভাবে দুরন্তপনা শৈশবের সঙ্গে আজ হারাতে বসেছে আবহমান গ্রামবাংলার বেশকিছু খেলা,এক সময় গ্রামীণ লোকসমাজের শিশুরা পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা করে সময় কাটাত।
শৈশবজুড়েই থাকত দুরন্তপনা। তবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিলীন হতে বসেছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী মার্বেল খেলা। আজ কালের পরিক্রমায় হারিয়ে যেতে বসেছে।সেই আমাদের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বিশেষত শিশু-কিশোরদের অত্যন্ত জনপ্রিয় ও এক সময়ের আকর্ষণীয় মার্বেল খেলা সময়ের স্রোতে সেই খেলা এখন হারিয়ে গেছে।
গ্রামবাংলার খেলাধুলা যেমন হারিয়ে যাচ্ছে, তার সঙ্গে হারাচ্ছে শিশুদের মেধাবিকাশের উপকরণ, টিকটক, ইউটিউব ফ্রি ফায়ার,পাবজিসহ বিভিন্ন ভিডিও গেমসে আটকে যাচ্ছে শৈশব।শৈশব বা কৈশোরে গ্রামবাংলার ছেলেরা মার্বেল দিয়ে নানারকম খেলা খেলেনি, বা দেখেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া নিশ্চয় কঠিন। তবে চির পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে বদলায় সব। কেবল পোশাক, খাদ্য বা ব্যবহার্য জিনিসেই নয়, মানুষের রুচি বদলায় খেলাধুলাতেও, আর এই রুচি বদলের ঢেউয়ে কাটা পড়ছে মার্বেল খেলা।
গ্রামবাংলার বেশকিছু খেলার মধ্যে একটি অন্যতম গ্রামীণ আকর্ষণীয় খেলা হচ্ছে মার্বেল খেলা। অভিভাবকদের নিষেধাজ্ঞাই এই খেলার প্রতি কিশোরদের এত বেশি আকর্ষণ করতো এই খেলার নিষ্পত্তি হয় অন্যের মার্বেল খেলে জিতে নিজের করে নেবার মাধ্যমে।
এক সময় আশুলিয়ার মেঠোপথে,বাড়ির আঙিনায় বা উঠানে চলত মার্বেল খেলা,একসময় স্কুল ফাঁকি দিয়ে বা বিকেলে রাস্তার পাশে মার্বেল খেলার কথা অনেক প্রৌঢ়-বৃদ্ধেরই মনে আছে নিশ্চয়ই মুঠোভর্তি মার্বেল দাগের বাইরে ছুঁড়ে মেরে,নির্দিষ্ট একটি মার্বেল বাদ দিয়ে অন্য যেকোনো একটা মার্বেলে লাগানোর সে কী চেষ্টাই না করত।
অনেকেই স্কুল ব্যাগের ভেতর কিংবা হাফপ্যান্টের পকেটে মার্বেল নিয়ে ঘুরত। মার্বেল খেলতে গিয়ে অভিভাবক কিংবা শিক্ষকের বকা খায়নি এমন কাউকে এক সময় খুঁজে পাওয়া মুশকিলই ছিল।স্কুলে টিফিনের ফাঁকে শিক্ষকদের চোখের আড়ালে গিয়েও শিশু-কিশোররা মেতে উঠত মার্বেল খেলায়।
তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশের যুগে ডিজিটালাইজেশনের ছোঁয়া লেগেছে শহরের ন্যায় গ্রামেও,মানুষের আর্থিক উন্নতি হচ্ছে, ঝোঁক বাড়ছে পড়াশোনা আর আয়বর্ধক কাজে। খেলার সময় যেমন থাকছেই না শহরের ছেলেদের, তেমনি এখন গ্রামীণ পরিবেশেও খেলার জন্য একটু সময় করা ভীষণ অভাব ছেলেদের।স্মার্টফোন সহজলভ্য হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢু-মেরেই সময়টা পার করতে পছন্দ করে কিশোররা।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, গ্রামীণ ক্রীড়া চর্চার অভাবে তথা উন্মুক্ত পরিসরে বিচরণ ও খেলাধুলার অভাবে শিশুদের মধ্যে শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। শিশুরা এখন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠছে। ফলে তাদের মানসিক বিকাশ বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh