বিগত ১৭ বছরেও রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর ইউনিয়নের কচুয়া-সমিতির বাজার ৩ কিলোমিটার সড়কে সংস্কারের কোন উন্নয়ন কাজ না হওয়ায় সড়কের এসব গর্তে পানি জমে ও অধিকাংশ সড়কে কার্পেটিং উঠে যাওয়ায় বর্তমানে যানবাহন চলাচল এবং পায়ে হাটার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় লোকজন এলজিইডি কতৃপক্ষ ও জনপ্রতিনিধিদের কর্মকান্ত নিয়ে চরম ক্ষোভ করেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয় স্থানীয় ভুক্তভোগীদের।
সরেজমিনে গতকাল রোববার সকালে সড়কটি পরিদর্শনে গেলে দেখা যায়, সড়কটির কাপেটিং উঠে গিয়ে, খানাখন্দে বড় ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে রিক্সা, সাইকেল চলাচলসহ পায়ে হাটারও অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। সড়কটি দিয়ে যাতায়তকারী ৪ গ্রামের শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, ইউপি চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা এলজিইডি অফিসে সড়কটি সংস্কারের জন্য বারবার ধর্না দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) কার্যালয় সূত্রে ও স্থানীয়ভাবে খোজখবর নিয়ে জানা যায়, সড়কটি সর্বশেষ ২০০৭ইং সনে এলজিইডি অর্থায়নে সংস্কার কাজ হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আবু তাহের, মোতালেব হোসেন, ডা. হাফেজ আহম্মদসহ অনেকে জানান, এ সড়ক দিয়ে পশ্চিম শোশালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে,আলীপুর উচ্চ বিদ্যালয়,মোশারফ হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়,পূর্ব শোশালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কচুয়া বাজার আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসাসহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থীসহ মানুষ প্রতিদিন চরম ভোগান্তী পোহাতে হচ্ছে। রোগী নিয়ে তাদেরকে পড়তে হয় চরম বিপাকে।
তারা আরো জানান, ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচনকালীন সময় কথা দিয়েছেন, তিনিও কথা রাখতে পারেননি। উপজেলা এলজিইডি অফিসে বার বার গিয়ে জানানো হয়েছে। তাই তারা সড়কটি সংস্কারে উধ্বর্তন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
রামগঞ্জ উপজেলা (এলজিইডি) প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ মাহমুদ খাঁন জানান, আমি নতুন এসেছি। তবে যতটুকু যানি সড়কটি অনেক বছর সংস্কার না হওয়া, রাস্তার দু’পাশের মাটি সরে ভেঙ্গে গেছে। তাই কাপেটিং, মাটির কাজ ও গাইড ওয়াল নির্মানে মোটা অংকের টাকার স্টিমেট দিতে হবে। শীঘ্রই সড়কটি সংস্কারের জন্য উদ্যোগ গ্রহন করা হবে।