সিলেটে দেশের পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে অন্যতম এখানে রয়েছে ভারতের মেঘালয় সীমান্তঘেঁষা জাফলং, সাদা পাথর, ডিবির হাওর, বিছানাকান্দিসহ দর্শনীয় স্থান। জেলার, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, বিয়ানীবাজার সীমান্ত দিয়ে নানা কৌশলে চোরাই পথে প্রবেশ করছে ভারতীয় নাছির উদ্দিন বিড়ি, চিনি, মহিষ, টাটা গাড়ির পার্টস, টায়ার, মোটরসাইকেল, ভারতীয় বিড়ি, ইয়াবা (বাবা), ভারতীয় বিভিন্ন ব্রান্ডের মদ।
অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসনের যোগসাজশে দিন রাত সমানভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে এসব ভারতীয় পণ্য। যেহেতু প্রশাসনের যোগসাজশ রয়েছে তাই এতে খুব একটা বাধার মুখে পড়ছে না চোরাকারবারিরা।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী ছয় উপজেলা, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, বিয়ানীবাজার, জকিগঞ্জ ও কোম্পানীগঞ্জ হলো চোরাচালানের নিরাপদ রুট। এ উপজেলাগুলোর অর্ধশতাধিক স্থান দিয়ে চোরাকারবার সংঘটিত হয়ে থাকে। দুর্গম পাহাড়ি এলাকাকে টার্গেট করে চোরাকারবারিরা গড়ে তুলেছে চক্র। চোরাই পণ্যগুলো সীমান্ত থেকে সিলেট নগরীতে এসে হাত বদল হয়। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হয়ে থাকে।
সূত্র জানায়, মূলত ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তের বেশ কিছু এলাকায় বেড়া নেই। এই সুযোগ গ্রহণ করছে দুই দেশের চোরাচালানি চক্র। এর মধ্যে সংগ্রাম সীমান্ত ফাঁড়ি, বল্লাঘাট জিরো পয়েন্ট, তামাবিল চিচির মংলা, নলজুড়ি, উদ্ভিদ তথ্য সংঘ নিরোধ কেন্দ্র, আলুবাগান, শ্রীপুর, ঝিংগাবাড়ি, কেন্দ্রি হাওর, ডিবির হাওর, আসামপাড়া, ঘিলাতৈল, গোয়াবড়ি, পিটরাখলা, কালিঞ্জিবাড়ি, লালাখাল গ্রান্ড, তুইমইর, বাশতলা সীমান্ত রয়েছে। এ এলাকা দিয়ে প্রতিনিয়ত দেশে আসছে এসব অবৈধ পণ্য। এতে বাংলাদেশ সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র বলছে, চোরাচালানের পণ্য পরিবহনে জড়িত রয়েছে হাজারখানেক লোক, তাদের নিয়ন্ত্রণ করেন জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা ও সীমান্তে বসবাসকারী প্রভাবশালীরা। এই চোরাকারবারিরা প্রতিনিয়ত সীমান্ত দিয়ে গরু, মহিষ, বিভিন্ন ধরনের মাদক, চিনি, মসলা, মটরশুঁটি, শাড়ি, থ্রিপিস, সিগারেট, বিস্কুট, প্রসাধনীসহ বিভিন্ন পণ্য ভারত থেকে নিয়ে আসছে।
স্থানীয়রা জানায়, সীমান্তের বিভিন্ন হাটে ভারতীয় খাসিয়ারা প্রতিদিন টমেটো, বিভিন্ন সবজি নিয়ে এসে উপস্থিত হয়। বাস্তবে এসব সবজির বস্তায় ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ নানা পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে তারা। এছাড়া নাইজেরিয়ান নাগরিকরাও চোরাই পথে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা চালায়।
সার্বিক বিষয়ে সিলেটের সহকারী পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. সম্রাট তালুকদার বলেন, পুলিশ মাদক উদ্ধার ও চোরাচালান রোধে কাজ করছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী উপজেলা থেকে প্রায়ই চোরাচালানের মাল উদ্ধার করে পুলিশ। কেউ পুলিশের নাম করে টাকা নিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh