প্রসাধনী সামগ্রীর নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে গেলে এগুলো ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, যেমন ব্রণ, অ্যালার্জি বা সংক্রমণ। অনেকেই দামি ব্র্যান্ডের প্রসাধনী কিনে দীর্ঘদিন সংরক্ষণের পরিকল্পনা করেন, যা বিপজ্জনক হতে পারে। তাই প্রতিটি প্রসাধনীর নির্ধারিত মেয়াদকাল জানা এবং মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।
প্রসাধনীর ব্যবহারকাল ও সতর্কতা
পাউডার ফাউন্ডেশন:
ব্যবহারের মেয়াদ: ১৮ মাস (প্যাকেট খোলার পর)
অতিরিক্ত সময় ব্যবহারে: ব্রণ ও সংবেদনশীলতা সৃষ্টি হতে পারে।
তরল ফাউন্ডেশন:
ব্যবহারের মেয়াদ: ১২ মাস
শুকিয়ে গেলে পুনরায় ব্যবহার করা উচিত নয়, কারণ এতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।
লিপস্টিক:
ব্যবহারের মেয়াদ: ৬ মাস (ম্যাট বা জেল লিপস্টিক)
মেয়াদ পেরিয়ে গেলে ঠোঁটে সংক্রমণ বা অ্যালার্জি হতে পারে।
মাসকারা:
ব্যবহারের মেয়াদ: ৩ মাস
বেশি দিন ব্যবহার করলে চোখে সংক্রমণ, লালচে ভাব ও জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হতে পারে।
আইলাইনার:
ব্যবহারের মেয়াদ: ৩ মাস
মেয়াদোত্তীর্ণ হলে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হয়ে চোখে প্রদাহের কারণ হতে পারে।
আইশ্যাডো ও ব্লাশ (পাউডার ভিত্তিক):
ব্যবহারের মেয়াদ: ২ বছর
মেয়াদোত্তীর্ণ হলে ত্বকে জ্বালাপোড়া ও অ্যালার্জি সৃষ্টি হতে পারে।
প্রসাধনী কেনার সময় যেসব সতর্কতা মানতে হবে
মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ দেখুন: ক্রয়ের আগে এক্সপায়ারি ডেট দেখে নিন।
সঠিক সংরক্ষণ: শুষ্ক ও ঠান্ডা স্থানে সংরক্ষণ করুন; গরম ও আর্দ্রতায় গুণগত মান নষ্ট হয়।
ব্যক্তিগত ব্যবহার: প্রসাধনী অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করবেন না, এতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।
সাধারণ পরামর্শ
প্রসাধনীর গন্ধ বা রঙ পরিবর্তন হলে ব্যবহার বন্ধ করুন।
ব্রাশ ও স্পঞ্জ নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
টেস্টার প্রসাধনী ব্যবহারে সতর্ক থাকুন, কারণ এতে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি।
সঠিক মেয়াদে প্রসাধনী ব্যবহার করলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জ্বল, এবং সংক্রমণের ঝুঁকিও কমবে। তাই মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী এড়িয়ে চলুন এবং সঠিক নিয়ম মেনে ব্যবহার করুন।