ব্যক্তিমালিকানাধীন একটি টিয়া মাত্র ৩৩ দশমিক ৫ সেকেন্ডে ১০টি রং আলাদা করে শনাক্ত করে রেকর্ড গড়েছে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটাই এখন পর্যন্ত কোনো টিয়ার সবচেয়ে দ্রুত রং শনাক্ত করার বিশ্ব রেকর্ড। এই টিয়া পাখির নাম শাওগুই। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের হেনান প্রদেশের জিয়াওঝো শহরের বাসিন্দা চিন ফেং শাওগুইর মালিক। তিনি বলেন, ২০২০ সালে টিয়াটিকে বাচ্চা অবস্থায় ঘরে আনেন। শুরু থেকেই পাখিটির খেলনা নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ ছিল। বিশেষ করে রঙিন বলের প্রতি এটির বিশেষ টান ছিল।
রঙের প্রতি আকর্ষণ দেখে শাওগুইর জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। ফেং বলেন, ‘শাওগুই খেলতে খেলতেই রং আলাদা করা শিখেছে। ওর বুদ্ধিমত্তা আমাকে অবাক করেছে।’
গত নভেম্বরে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের জন্য শাওগুইর পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। পরীক্ষায় শাওগুইকে ১০টি ছোট প্লাস্টিকের ঝুড়ি ও রঙিন সুতা দিয়ে সমানসংখ্যক বল বানিয়ে দেওয়া হয়। তাঁকে এলোমেলো করে সাজানো রঙিন বলগুলো একই রঙের ঝুড়িতে রাখতে বলা হয়। নির্দেশ পেয়ে শাওগুই বলগুলো একে একে তুলে সঠিক ঝুড়িতে রাখতে থাকে।
গিনেস কর্তৃপক্ষ জানায়, একসময় গাঢ় গোলাপি বল হালকা গোলাপির ঝুড়িতে ফেলে ভুল করলেও মুহূর্তের মধ্যেই তা সংশোধন করে নেয় শাওগুই।
গিনেস রেকর্ডসে শাওগুইর আগে আরও কিছু টিয়া পাখি একই কীর্তি গড়েছিল। আফ্রিকার ধূসর প্রজাতির টিয়া অ্যাপোলো যুক্তরাষ্ট্রে ৩ মিনিটে ১২টি বস্তু চিনে রেকর্ড গড়েছিল। ইতালির কিরা নামের একটি টিয়া ৩ মিনিটে ১১টি তাস চিনে সাফল্য দেখিয়েছিল।
শুধু রং শনাক্ত করা নয়, অন্যান্য কাজে দক্ষতা দেখিয়েও টিয়া পাখি রেকর্ড গড়েছে। বুলগেরিয়ার ককাটু চিকোর নামের টিয়া পাখি পাঁচ মিটার স্কুটার চালিয়ে রেকর্ড গড়েছিল। এ জন্য পাখিটি সময় নিয়েছিল ১৪ মিনিট ৫৬ সেকেন্ড। এ কাজের জন্য চিকোকে ছোট্ট একটি স্কুটার চালানোর জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। স্কুটারটি মানুষের স্কুটারের মতো বড় নয়, টিয়ার উপযোগী করে বানানো হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের জ্যাক নামের এক ম্যাকাও টিয়া ১ মিনিটে ২২ বার লাফিয়ে বাস্কেটবলে আঘাত করে (ডাঙ্ক মেরে) রেকর্ড করেছিল। আর চীনের কোলা নামের টিয়া মাত্র ১ মিনিটে ২১টি খেলা দেখিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিল।