কালার করা চুল এখন ফ্যাশানের নতুন ট্রেন্ড। কমবেশি সবাই এখন চুলে কালার করাতে ভালোবাসেন। কিন্তু এই কালার করা চুলের জন্য প্রয়োজন বাড়তি যত্ন। নিয়মিত যত্ন না নিলে চুল ভেঙে যাওয়া, ঝরে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে।
তাই কালার করা চুলে সালফেট ফ্রি শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। প্রতিবার শ্যাম্পুর পরে ময়শ্চারাইজিং কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। চুলে সরাসরি গরম পানি ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। সপ্তাহে ১-২ বার ডিপ কন্ডিশনার বা হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারলে ভালো।
কালার বা হাইলাইট করা চুলে ব্লো ড্রায়ার, স্ট্রেইটনার, কার্লিং আয়রন যতটা পারা যায় কম ব্যবহার করতে হবে। প্রতি দুই মাসে অন্তত একবার চুলের ফাঁকা এবং দু’মোড়ানো অংশ কেটে ফেলতে হবে।
চুলে নিয়মিত নারিকেল তেল, আর্গান অয়েল বা জোজোবা অয়েল ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহারের ২০ মিনিট পরে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। এরপর চুল রোদে, ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে নিতে হবে। ভেজা চুল অনেকটাই অস্বাস্থ্যকর।
মনে রাখতে হবে, সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি চুলের প্রোটিন (ক্যারোটিন) ভেঙে দেয়, আর্দ্রতা কমিয়ে দেয় এবং রঙ ফিকে করে দেয়। বাজারে এখন সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মিকে ঠেকাতে পারে এমন বেশ কিছু হেয়ার স্প্রে পাওয়া যায়। সেগুলো নিয়মিত ব্যবহারে চুলের রঙ দ্রুত নষ্ট হবে না।