প্রতিটা পণ্যেরই একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। অনেক সময় পণ্যের মেয়াদ পার হয়ে গেলেও ঘ্রানে তা বোঝা যায় না। কিছু খাবার বা খাদ্য উপকরণ মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে অবশ্যই ফেলে দিতে হবে আপনাকে, সেটির ঘ্রাণ যেমনই থাকুক না কেন। ‘এক্সপায়ারি ডেট’ পেরিয়ে গেলে সেই খাবার বা খাদ্য উপকরণ আর ব্যবহার করতে নেই। তাতে অসুস্থতার ঝুঁকিতে পড়বেন আপনি।
প্যাকেটজাত তরল দুধ
প্যাকেটজাত তরল দুধ ফ্রিজে রাখা হলেও সর্বোচ্চ ৭ দিন ভালো থাকতে পারে। এরপর জীবাণু জন্মাতে পারে দুধে। তাই উল্লিখিত তারিখ পেরিয়ে গেলে সেই দুধ খাবেন না বা তা দিয়ে কিছু তৈরি করবেন না।
বেকিং পণ্য
কেক মিক্স, বেকিং পাউডার বা বেকিং মিক্স, ইস্ট, জ্যাম, জেলি প্রভৃতি উপকরণের তারিখ পেরিয়ে গেলে ব্যবহার করবেন না। উল্লিখিত তারিখ পেরিয়ে গেলে ঠিকঠাক কাজে আসবে না এসব উপকরণ।
নরম পনির
নরম পনির সাধারণত এক-দুই সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে। পনিরটা কোন ধরনের, তার ওপর নির্ভর করছে এটা ঠিক কত দিন ব্যবহার করা যাবে। সেই অনুযায়ীই তারিখ উল্লেখ করা থাকে।
বোতলে রাখা কন্ডিমেন্ট
খাবারের স্বাদ বাড়াতে নানা রকম কন্ডিমেন্ট ব্যবহার করা হয়। সস, কেচাপ, মেয়োনেজ, কাসুন্দি, কিমচি এবং এ ধরনের আরও উপকরণ আছে কন্ডিমেন্টের তালিকায়। বয়াম বা বোতলে রাখা এসব কন্ডিমেন্টের কোনোটির মেয়াদ থাকে এক মাস, কোনোটির হয়তো এক বছর।
যে তারিখটি যে কন্ডিমেন্টের জন্য উল্লেখ করা হয়েছে, তা পেরিয়ে গেলে সেটি আর ব্যবহার করবেন না। মেয়াদ ফোরানোর আগে ঘ্রাণ বা রং বদলে গেলেও সেটি আর ব্যবহার করবেন না।
ফলের রস
ফলের রস সহজেই নষ্ট হয়ে যায়। প্রক্রিয়াজাত করে ফলের রসকে সংরক্ষণের উপযোগী করে বাজারজাত করা হয়। তবে বাজারের সব ধরনের ফলের রস আবার একইভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয় না। প্যাকেট বা বোতলে উল্লিখিত তারিখ খেয়াল করুন। তারিখ পেরিয়ে গেলে এসব আর নিরাপদ থাকে না।