মাশরুম প্রোটিনের উৎকৃষ্ট উৎস। এতে পেনিসিলিন থাকে, যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। মাশরুম ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে। শিশুদের হাড় ও দাঁত ভালো রাখতেও সাহায্য করে মাশরুম।
পুষ্টিবিদরা মনে করেন, মাশরুমের বিভিন্ন পদ, মাশরুমের স্যুপ শরীরের জন্য যথেষ্ট উপকারি। এতে রাইবোফ্লাভিন, থায়ামিন, নায়াসিন এবং প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড আছে। এ উপাদানগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। স্নায়ুর বিকাশ, স্বাস্থ্যকর ত্বক এবং শক্তিশালী হাড় ও মাংস পেশীর বিকাশের জন্য রাইবোফ্লাভিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অবসাদ, ক্লান্তি ও ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে মাশরুম। কেননা মাশরুমে আছে ভিটামিন ডি। মাশরুমে থাকা প্রোটিন ও ফাইবার শিশুর সার্বিক বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
মাশরুম আয়রনের ভালো উৎস, যা গর্ভাবস্থায় মা ও শিশু উভয়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং গর্ভাবস্থায় মাশরুম খাওয়া উপকারী। তবে মাশরুম খেতে হবে ভালো ভাবে সেদ্ধ করে। ভুলেও কাঁচা বা অল্প সেদ্ধ করে মাশরুম খাওয়া উচিত নয়। এতে অ্যালার্জি সমস্যা, হজমের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। হোটেল বা রেস্টুরেন্টের রান্না করা মাশরুম না খেয়ে বাসায় রান্না করে খেতে পারেন।
বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে এখন মাশরুমের স্যুপ ও মাশরুমের বিভিন্ন পদ পাওয়া যায়। সবজিতেও অনেকে মাশরুম দেন।