× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

মেধা, মনন ও কর্মেই বেঁচে আছেন সুধা মিয়া

আবুল কালাম আজাদ

০৯ মে ২০২২, ০৭:৪৯ এএম

প্রতীকী ছবি

সমাজে লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে দেশ ও জাতির সেবা করে যাওয়া মানুষের ভীষণ অভাব। আবার ক্ষমতার চূড়ান্তে থেকেও একান্তে নিভৃতে মানুষ এবং দেশের কল্যাণে কাজও সবাই করতে পারে না। এ কাজ যারা পারেন বা পেরেছেন তাদের অন্যতম হলেন বাংলাদেশের কৃতী সন্তান, বাঙালি জাতির এক গর্বিত ও আলোকিত মানুষ ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া (সুধা মিয়া)।

তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী। বাঙালি জাতির এক গর্বিত ও আলোকিত মানুষের নাম ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া। এক বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী ছিলেন এই বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী। ক্ষমতার শীর্ষ পর্যায়ে থেকেও তার নির্মোহ জীবনযাপন তাকে জাতির কাছে করেছে চির অমর, চির মহান। নিজ গুণেই তিনি ছিলেন আলোকিত ও উদ্ভাসিত। তিনি ছিলেন নির্লোভ ও নিরহঙ্কারী একজন মানুষ।

তার দুই সন্তান। বড় জন সজীব ওয়াজেদ জয়, যিনি একজন আইটি বিশেষজ্ঞ এবং প্রধানমন্ত্রীর আইটি উপদেষ্টা। ছোট মেয়ে সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল, যিনি একজন প্রখ্যাত অটিজম বিশেষজ্ঞ। যিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গঠিত বিশেষজ্ঞ প্যানেলের একজন সদস্য।

আজ ৯ মে, সোমবার বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। ড. ওয়াজেদ মিয়া ২০০৯ সালের ৯ মে বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে দীর্ঘদিন কিডনির সমস্যাসহ হৃদরোগ ও শ্বাসকষ্টে ভুগে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ৬৭ বছর বয়সে মারা যান। তিনি ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৪২ সালে জন্ম নিয়ে ছিলেন রংপুরের পীরগঞ্জে। আর এ সুবাদে গড়ে উঠেছিল এই মানুষটির সঙ্গে আমারও গভীর সম্পর্ক। তিনি ছিলেন আমার স্বজন, একান্তই আপনজন। তিনি নানা ব্যস্ততার মাঝেও যখন পীরগঞ্জে যেতেন আর তখন আমিও ছুটে যেতাম তার কাছে। রয়েছে অনেক অনেক স্মৃতি। আজ ভাবতেই অবাক লাগে, তিনি আমাদের মাঝে নেই। তিনি যখনই বাড়িতে যেতেন তখনই বলতেন আমি যেখানেই থাকি কিন্তু আমার আত্মাটি পড়ে থাকে পীরগঞ্জে। পীরগঞ্জের মাটি এবং মানুষ মিশে রয়েছে আমার আত্মায়। তাই মৃত্যুর পর তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেপুর গ্রামে তার বাবা-মার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর জামাতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি তার মেধা, মনন ও সৃজনশীলতা দিয়ে জনগণের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। ওয়াজেদ মিয়া তার কর্মের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন। তিনি স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলনের কারণে কিছুদিন কারাবরণ করেন। ১৯৭১ সালে এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং এর আগে ও পরের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তার উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। তাই তিনি বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাসেরও একজন অগ্রসৈনিক।

বাংলাদেশে স্বল্পসংখ্যক বিজ্ঞানীর জন্ম হয়েছে। তাদের মধ্যে মৌলিক চিন্তার অধিকারী ছিলেন খুবই কম। কিন্তু ড. ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন তাদের অন্যতম। তিনি মৌলিক চিন্তাকে বিষয়কেন্দ্রিকভাবে সুবিন্যস্ত করেছিলেন। তাই তার লেখনিতে অনুসন্ধিৎসু আলো ফেলতেন। যে আলো আজো ছড়িয়ে পড়ছে। তাই রংপুরে অবস্থিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণার স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রাণপুরুষ এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী হিসেবে তার স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিষ্ঠা করা হয় ড. ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউট।

বিজ্ঞান নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতেন ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া। তিনি স্বপ্ন দেখতেন, বিশ্বমাঝে বাংলাদেশ বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ একটি দেশ হিসেবে পরিচিতি পাবে। পাকিস্তান আমলে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর নামক স্থানে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। সে সময় জমিও অধিগ্রহণও করা হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কোনো সরকার পদক্ষেপ নেয়নি। ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনে সরকারকে উৎসাহিত করেন। এরই ফলশ্রুতিতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই উদ্যোগ গ্রহণের পথ মসৃণ ছিল না। ‘এ ধরনের প্রকল্পের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ’, ‘এটি ব্যয়বহুল ও উচ্চাভিলাষী প্রকল্প’, ‘অত্যন্ত স্পর্শকাতর হওয়ায় পৃথিবীর অনেক দেশ এ ধরনের প্রকল্প থেকে বের হয়ে আসছে’Ñ ইত্যাদি মন্তব্য এসেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো শক্তিধর দেশগুলোর কাছ থেকে। তারা পরোক্ষভাবে যা বলতে চেয়েছে, রাশিয়ার সহায়তায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করো না বা করা উচিত হবে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের মতামত উপেক্ষা করে সাহসের সঙ্গে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে হাত দিয়েছেন। এটি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র যার প্রথম ইউনিট ২০২৩ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করবে। ২.৪ গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই পরিকল্পিত পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ সম্পন্ন হলে দেশে কোনো বিদ্যুৎ সংকট থাকবে না। ফলে দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়া আরও গতিশীল হবে। ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া সেই স্বপ্নের উন্নত বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিলেন বলেই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ওপর জোর দিয়েছিলেন।

হে প্রিয়, আবার আসো ফিরে, আমাদের মাঝে। আমাদের পীরগঞ্জ তথা, আমাদের বাংলায়। তুমি নেই, এ যেমন ধ্রুব সত্য আবার তোমার সৃষ্টি, তোমার কর্ম দেখলেই মনে হয়; তুমি আছো; তুমি রবে আমাদেরই মাঝে; আমাদের হৃদয়ে।

জীবন ও কর্ম: ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম আব্দুল কাদের মিয়া ও মাতা মরহুমা ময়জুনেসার চার পুত্র ও তিন কন্যার মধ্যে তিনি ছিলেন সর্ব কনিষ্ঠ। গ্রামের প্রাইমারি বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণি ও পীরগঞ্জ উপজেলার হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়ন শেষে তিনি ১৯৫২ সালে রংপুর শহরের সরকারি জেলা স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হন। ১৯৫৬ সালে এই স্কুল থেকে ডিস্টিংশনসহ ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। ১৯৫৮ সালে তিনি রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন। ১৯৬১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন এবং ১৯৬২ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি ফজলুল হক হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন এবং ছাত্রলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ১৯৬১-’৬২ শিক্ষা বছরের জন্য হল ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনে গ্রেফতার হন। ১৯৬৩ সালের ১ এপ্রিল তিনি তৎকালীন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশনের চাকরিতে যোগদান করেন। ১৯৬৩-’৬৪ শিক্ষা বছরে তিনি লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের ‘ডিপ্লোমা অব ইম্পেরিয়াল কলেজ কোর্স’ কৃতিত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করেন। ১৯৬৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাজ্যের ‘ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়’ থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করলে তাকে ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে ঢাকার আণবিক শক্তি গবেষণা কেন্দ্রে পদস্থ করা হয়।

তিনি ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ও কন্যা সায়মা হোসেন পুতুল। ১৯৬৯ সালে ইতালির ট্রিয়েস্টের আন্তর্জাতিক তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র তাকে এসোসিয়েটশিপ প্রদান করে। এই সুবাদে তিনি ১৯৬৯-’৭৩ ও ১৯৮৩ সালগুলোয় ওই গবেষণা কেন্দ্রে প্রতিবার ৬ মাস ধরে গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৬৯ সালের নভেম্বও থেকে ১৯৭০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন শহরের ড্যারেসবেরি নিউক্লিয়ার ল্যাবরেটরিতে পোস্ট ডক্টোরাল গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন।

১৯৭৫ সালের ১২ মার্চ থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত তিনি তৎকালীন পশ্চিম জার্মানির কার্লসরুয়ে শহরের ‘আণবিক গবেষণা কেন্দ্রে’ আণবিক রিঅ্যাক্টর বিজ্ঞানে উচ্চতর প্রশিক্ষণ লাভ করেন।

১৯৭৫ সালের ১ অক্টোবর থেকে ১৯৮২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি ভারতের আণবিক শক্তি কমিশনের দিল্লির ল্যাবরেটরিতে গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি অনেক জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান বিষয়ক সম্মেলনে যোগদান করেন। তার অনেক গবেষণামূলক ও বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্র-পত্রিকায় এবং সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকান্ডের পর দীর্ঘ সাত বছর নির্বাসিত জীবন কাটান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের পদার্থ বিজ্ঞান, ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের ছাত্রদের জন্য দুটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। তার লেখা ৪৬৪ পৃষ্ঠার ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ঘিরে কিছু ঘটনা ও বাংলাদেশ’ শিরোনামের গ্রন্থটি ১৯৯৩ সালের জানুয়ারিতে এবং ৩২০ পৃষ্ঠার ‘বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকারের চালচিত্র’ শিরোনামের গ্রন্থটি ১৯৯৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড কর্তৃক প্রকাশিত হয়। বহুল রাজনৈতিক ঘটনা সংবলিত এ দুটি গ্রন্থ সুধী পাঠকদের কাছে বিশেষভাবে সমাদৃত হয়।

১৯৭২ ও ১৯৭৩ সালের জন্য তিনি পরপর দুবার বাংলাদেশ আণবিক শক্তি বিজ্ঞানী সংঘের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮৩, ১৯৮৪ ও ১৯৮৫ সালে তিনি পরপর তিনবার ওই বিজ্ঞানী সংঘের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত চার বছর তিনি বাংলাদেশ পদার্থ বিজ্ঞান সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯৭ সালে দুবছর মেয়াদের জন্য ওই বিজ্ঞান সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। তাছাড়াও তিনি ওই বিজ্ঞান সমিতির আজীবন সদস্য। ১৯৮৯ সালে দুবছর মেয়াদের জন্য ওই বিজ্ঞান সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। তাছাড়া তিনি ওই বিজ্ঞান সমিতির আজীবন সদস্য ছিলেন।

১৯৮৯ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত পরপর দুটি দুবছরের মেয়াদকালের জন্য বাংলাদেশ বিজ্ঞান উন্নয়ন সমিতির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এবং ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি পরপর দুটি দুবছর মেয়াদকালের জন্য ওই বিজ্ঞান সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি ওই সমিতির একজন আজীবন সদস্য। ১৯৯১-১৯৯২ সালে তিনি বাংলাদেশ আণবিক শক্তি বিজ্ঞানী সংঘেরও সভাপতি নির্বাচিত হন। এছাড়া ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত পরপর তিনটি দুবছরের মেয়াদকালের জন্য তিনি ‘বাংলাদেশ বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানজীবী সমিতি’র সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ওই সমিতির একজন আজীবন সদস্য।

তিনি ঢাকার রংপুর জেলা সমিতির আজীবন সদস্য এবং ১৯৯৪ থেকে ৯৭ সাল পর্যন্ত দু’বছর মেয়াদকালের জন্য এ সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা এবং ঢাকার বৃহত্তম রংপুর কল্যাণ সমিতি, উত্তরবঙ্গ জনকল্যাণ সমিতি, রাজশাহী বিভাগীয় উন্নয়ন ফোরাম; বেগম রোকেয়া স্মৃতি সংসদ এবং রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর বছিরউদ্দিন মহাবিদ্যালয়ের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন।

লেখক :  সিনিয়র সাব-এডিটর, সংবাদ সারাবেলা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিল (ডিএসইসি)

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.