ফুটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়দের সংক্ষিপ্ত তালিকায় রাখা হয় জিনেদিন জিদানকে। খেলোয়াড় কিংবা কোচ হিসেবে, সাফল্যে টইটুম্বুর তার ক্যারিয়ার। ফ্রান্সের হয়ে জিতেছেন বিশ্বকাপ, ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। বর্ণিল ক্লাব ক্যারিয়ারে সেরি আর দল ইউভেন্তুস, স্পেনের সফলতম ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে আলো ছড়িয়েছেন। জিতেছেন ভুরিভুরি শিরোপা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে প্রথম কোচ হিসেবে টানা তিন শিরোপা এনে দিয়েছেন মাদ্রিদের দলটিকে। এখন আপাতত তিনি ‘বেকার’ সময় পার করছেন।
জীবনের বসন্তে ফরাসি কিংবদন্তি ৫০ বছর পূর্ণ করলেন বৃহস্পতিবার। বিশেষ দিন উপলক্ষে ফরাসি ক্রীড়া দৈনিক লেকিপেকে বিশদ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। কথা বলেছেন খেলোয়াড়ী জীবন, কোচিং, ভবিষ্যৎসহ অনেক বিষয় নিয়ে।
দেশের জার্সিতে ও ইউভেন্তুসের হয়ে আলো ছড়িয়ে ততদিনে জিদান পাদপ্রদীপের আলোয়। ইতালিয়ান দলটির হয়ে দুবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে হারলেও দুটি সেরি আ-সহ জেতেন বেশ কিছু শিরোপা। নতুন চ্যালেঞ্জের খোঁজে ট্রান্সফার ফির বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ২০০১ সালে তিনি পাড়ি জমান রিয়ালে। তুলে ধরলেন তার সেই সময়ের অনুভূতি।
“অদ্ভুত অনুভূতি কাজ করছিল। (ট্রান্সফার ফির) অঙ্কটা ছিল প্রায় ৭ কোটি ৭৬ লাখ ইউরো। অবিশ্বাস্য। আমার হাতে বলতে গেলে কোনো বিকল্প ছিল না। ইউভেন্তুস যা চেয়েছিল, তা তাদের অধিকার ছিল। আর অর্থটা দিতে হতো রিয়াল মাদ্রিদকে।“
“আমি সবেমাত্র ২৯ বছরে পা দিয়েছি তখন। আমার কিছুটা অভিজ্ঞতা ছিল। একটা পর্যায়ে আমার ক্যারিয়ার উন্নত করার জন্য আমাকে যেতে হতো। আমি পাঁচ বছর ইউভেন্তুসে ছিলাম, সেখানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ছাড়া সব জিতেছিলাম। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে আমরা দুইবার হেরেছিলাম। তাই আমার নতুন চ্যালেঞ্জটা দরকার ছিল।”
রিয়ালে প্রথম মৌসুমেই জিদান পান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বাদ। ২০০২ সালে গ্লাসগোর হ্যাম্পডেন পার্কে সেই ফাইনালের নায়ক ছিলেন তিনিই। বায়ার লেভারকুজেনের বিপক্ষে রাউলের গোলে অষ্টম মিনিটে এগিয়ে যায় রিয়াল। ত্রয়োদশ মিনিটেই সেটি শোধ দিয়ে দেয় জার্মান ক্লাবটি। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে জিদানের করা গোল শেষ পর্যন্ত গড়ে দেয় ব্যবধান। স্মরণ করলেন সেই গোলের কথা।
"সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্ত, আমি জানি না, আমি জানি না। আমারও তাই মনে হয়। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি, হ্যাঁ। আমার প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার জন্য গোলটা দরকার ছিল। বড় ফাইনালে মাদ্রিদের হয়ে আমার ফল নির্ধারক হতেও গোলটা দরকার ছিল। ফরাসি জাতীয় দলের হয়ে আমি এটা করে দেখিয়েছি, ইউভেন্তুসের হয়ে অন্যান্য ট্রফির জন্য করেছি, রিয়ালের হয়ে আমার প্রথম মৌসুমে গোল করা দরকার ছিল। গোলটি করার পর স্বস্তি পাচ্ছিলাম। ওটা জেতার আগে আমি তিনটি ইউরোপিয়ান ফাইনালে হেরেছিলাম। বোর্দোর হয়ে একবার উয়েফা কাপে (১৯৯৬ সালে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে দুই লেগের ফাইনালে ২-০ ও ৩-১ গোলে হার) এবং ইউভেন্তুসের হয়ে দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে।”
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh