লিটন ও মুমিনুলের দৃঢ়তায় প্রথম ইনিংসে লিড পেয়েছে সফরকারী বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের করা ৩২৮ রান ছাড়িয়ে গেছে অতিথিরা। এশিয়ার বাইরে প্রথমবার প্রথম ইনিংসে পরে ব্যাটিং করে লিড পেল বাংলাদেশ। মুমিনুলের চোয়ালবদ্ধ ব্যাটিং ও লিটনের ধ্রুপদী ইনিংসে অতি সহজেই এগিয়ে গেছে টাইগাররা। কিউইদের মাটিতে এমন ‘পজিটিভ’ বাংলাদেশ দলকে শেষ কবে দেখা গেছে সে নিয়ে বিস্তর আলোচনা হতে পারে। তবে এ মুহূর্তে আলোচনায় বাংলাদেশের ব্যাটিং।
মুমিনুল হক ও লিটন দাশের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের দলীয় রান তিনশ’ পেরিয়েছে। এরইমধ্যে দুজনের ব্যক্তিগত ইনিংস ফিফটি ছুঁয়েছে। জুটির রানও ছুঁয়েছে তিন অঙ্ক।
প্রথম সেশনে স্বাগতিক বোলাররা দাপট দেখালেও দ্বিতীয় সেশন পুরোটাই বাংলাদেশের। নিখুঁত ব্যাটিংয়ে মুমিনুল ও লিটন দলের স্কোরবোর্ড সচল রেখেছেন। কিউইদের কোনো সুযোগই দেননি তারা। সকালের মন্থর ব্যাটিংয়ের চিত্র পাল্টে দ্বিতীয় সেশনে হয়েছে রান উৎসব।
প্রথম সেশনে ২৬ ওভারে মাত্র ৪৫ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। তবে পরের সেশনে একই ওভারে বাংলাদেশ কোনো উইকেট না হারিয়ে তুলেছে ৮৭ রান। পাল্টা জবাবে টেস্টের নাটাই এখন বাংলাদেশের হাতে।
মুমিনুল টেস্ট ক্রিকেটের ১৫তম ফিফটি পেয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এটি তার দ্বিতীয় ফিফটি। এর আগে ২০১৭ সালে ওয়েলিংটনে ৬৪ রান করেছিলেন। অন্যদিকে লিটনের এটি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ফিফটি। ডানহাতি ব্যাটসম্যানের এটি ১১তম টেস্ট ফিফটি।
তৃতীয় দিনের সকালের সেশন ছিল নিউজিল্যান্ডের। আঁটসাঁট বোলিংয়ে অতিথি ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষা নেন ওয়াগনার, বোল্ট, সাউদি, জেমিসনরা। বলা যায় রান পেতে বাংলাদেশকে কঠিন সংগ্রাম করতে হয়েছে।
৭০ রানে দিন শুরু করা জয় আর ৮ রান যোগ করতেই ওয়াগনারের বলে আউট হন। আগের দিনের আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান মুমিনুল টিকে থাকতে কঠিন লড়াই করেন। প্রথম রান নিতে খেলেন ২৯ বল। এরপর ১ রানের ব্যবধানে দুবার জীবন পান।
প্রথমে মুমিনুলের ফিরতি ক্যাচ ছাড়েন জেমিসন। এরপর নো বলে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান। মুশফিকও কঠিন সংগ্রাম করেছেন। তাতে লাভ হয়নি। থিতু হয়ে বোল্টকে উইকেট উপহার দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। এর আগে করেন ১২ রান।