বয়সভিত্তিক পর্যায়ে সাফল্যের পর থেকেই নারী ফুটবলারদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আলোচনা চলছে। বিশেষ করে সাবিনা খাতুন-কৃষ্ণা রানীদের বেতন কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। ক্যাটাগরিভেদে মেয়েরা মাসিক ১২, ১০ এবং ৮ হাজার টাকা করে পাচ্ছেন। গত এক দশক ধরে ফুটবলের ঝান্ডা ওড়ানো মেয়েরা এবার হিমালয় জয় করেছে। নেপালকে হারিয়ে প্রথমবার জিতেছে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। তখন থেকেই মারিয়া মান্ডা-মনিকা চাকমাদের কম সুবিধা নিয়ে সমালোচনা শুনতে হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন কর্তাদের। অবশেষে সাফ জেতার পুরস্কারও পেয়ে যাচ্ছেন মেয়েরা।
দক্ষিণ এশিয়ার সেরা এখন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। নেপালকে হারিয়ে মেয়েদের সাফের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে ফিরেছে সাবিনা খাতুনরা। দেশকে সাফল্যের আনন্দে ভাসিয়ে বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা শুনেছে তারা। পুরস্কারের বিষয় তো আছেই, নারী দলের ফুটবলারদের চাওয়া বেতন বৃদ্ধি। এজন্য বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের কাছে অনুরোধ নিয়ে গিয়েছিলেন মেয়েরা। তাতে আশ্বাস মিলেছে সাফজয়ীদের।
এই পুরো বিষয়টি সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা। দেশের নারী ফুটবলে সবচেয়ে বড় অর্জন এনে দেওয়ার পর তাদের বেতন বৃদ্ধির দাবি যৌক্তিক। এ নিয়ে কয়েকদিন আলোচনাও হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বাফুফেরও চাওয়া, সোনার মেয়েদের পারিশ্রামিক বাড়ানো। সালাউদ্দিন সেই আশ্বাসই দিয়েছেন মেয়েদের।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাবিনা বলেছেন, ‘আমরা সভাপতির (কাজী সালাউদ্দিন) সঙ্গে দেখা করেছি। দেখা করে আমাদের মাসিক যে বেতন পেতাম, সেটা বাড়ানোর আবেদন করেছি। একই সঙ্গে অনুশীলনে আমাদের যে সব সরঞ্জাম প্রয়োজন, সেগুলোর ব্যবস্থা করার অনুরোধও জানিয়েছি। সভাপতি আমাদের কথা রেখেছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন বেতন বাড়ানোর সঙ্গে সরঞ্জামেরও ব্যবস্থা হবে।’
অভাব-অনটনের সংসারে বেড়ে উঠেছেন। তাই অল্প বেতনেই তুষ্ট মেয়েরা। নিজেদের বেতনের আওতায় আনায় খুশি সাবিনা, 'আপনারা জানেন, বাংলাদেশে ক্রিকেট এবং ফুটবল ছাড়া অন্য কোনো দলের খেলোয়াড়রা বেতন পান না। সেই হিসেবেই আমরা নিজেদের ভাগ্যবান মনে করি।'
মেয়েদের মতো বেতন বাড়ছে নারী দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনেরও। বাংলাদেশের মেয়েদের ফুটবলের সাফল্যের অন্যতম কারিগর হলেন ছোটন।
বর্তমানে নারী ফুটবলাররা তিন ক্যাটাগরিতে মাসিক বেতন পেয়ে থাকেন। চুক্তিবদ্ধ রয়েছেন ৩৬ খেলোয়াড়।