ক্যারিয়ারের
পথচলায় দুজনই বড় মাইলফলকের দেখা
পেয়েছেন এ দিন। আয়ারল্যান্ডের
বিপক্ষে ৩১ বলে ২৩
রানের ইনিংসের পথে তামিম পূর্ণ করেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজার রান।
বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটসম্যানের
১৪ হাজার রানও নেই।
মুশফিক
পরে ব্যাটিংয়ে নেমে স্পর্শ করেন ৭ হাজার ওয়ানডে
রানের মাইলফলক। বাংলাদশের হয়ে যে কৃতিত্ব আগে
দেখাতে পেরেছেন কেবল তামিম ও সাকিব আল
হাসান।
মুশফিক
থামেননি সেখানেই। দিনটি স্মরণীয় করে রাখেন তিনি ব্যাটিং তাণ্ডবে ৬০ বলের সেঞ্চুরিতে।
বাংলাদেশের হয়ে যা দ্রুততম ওয়ানডে
সেঞ্চুরির রেকর্ড।
১৬
ইনিংস পর ওয়ানডে সেঞ্চুরির
দেখা পেলেন তিনি। ৬ নম্বরে নেমে
নতুন ভূমিকায় শতরান পেলেন প্রথম।
তার
ফর্ম আর ব্যাটিংয়ের ধরন
নিয়ে টুকটাক প্রশ্ন উঠছিল সাম্প্রতিক সময়ে। তবে এই সিরিজের দুই
ম্যাচে তাকে দেখা গেল বিধ্বংসী চেহারায়। 
বৃষ্টিতে
ম্যাচের দ্বিতীয় ভাগ ভেসে যাওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে
মুশফিক আসেননি। তবে সামাজিক মাধ্যমে তামিমের সঙ্গে ছবি দিয়ে আবেগময় লেখায় তিনি তুলে ধরেছেন বন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
“মাঠের
ভেতরে-বাইরে আমাকে সবটুকু সমর্থন দেওয়ার জন্য আজকে ধন্যবাদ জানাতে চাই তামিমকে। এখনও পর্যন্ত সামান্য যা কিছু অর্জন
করতে পেরেছি, এই ভদ্রলোক তাতে
বড় ভূমিকা রেখেছে। ১৫ হাজারের বেশি
আন্তর্জাতিক রান এবং আমার চোখে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটার।”
ব্যাট
হাতে সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না তামিমের। টানা
৬ ওয়ানডে ইনিংসে ফিফটির দেখা পাননি তিনি। তার জন্য শুভ কামনা জানিয়ে রাখলেন মুশফিক।
“সবকিছুর
জন্য কৃতজ্ঞতা বন্ধু। তোর সময়ও দ্রুত আসবে ইনশাল্লাহ।”
মুশফিকের
সেই পোস্টের নিচে তামিমের মন্তব্য আসতেও সময় লাগেনি, “ধন্যবাদ বন্ধু, আজকে মাঠে তুই ছিলি অসাধারণ।”