× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

তামিমের রানে ফেরার প্রত্যাশা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

২২ মার্চ ২০২৩, ০৭:২৭ এএম

ওয়ানডেতে তামিমের ফিফটি নেই ৬ ইনিংস ধরে। খুব বাজে সময় বা অফ ফর্ম এটিকে সেভাবে বলা যায় না। এই ৬ ইনিংসের মধ্যে ১৯, ২৩, ৩৫ ও ২৩ রানের ইনিংস আছে। রান পাচ্ছেন না বলার উপায়ও তাই নেই। তবে তামিমের মতো একজনের নামের পাশে তো সংখ্যাগুলো বেমানান। থিতু হয়ে যাওয়ার পর তো তার কাছে বড় ইনিংসই চায় দল। পরপর দুই সিরিজে অধিনায়কের বড় ইনিংস খেলতে না পারা চোখে লাগে বৈকি।

এমনিতে তার নেতৃত্বে বড় কোনো খামতি এখনও সেভাবে ফুটে ওঠেনি। মাঠের ভেতরে-বাইরে নেতৃত্বের কাজটি ঠিকঠাক করছেন বলেই মনে হচ্ছে। তবে অধিনায়ককে তো আগে পারফর্মও করতে হবে।

তামিম অবশ্য এখানে আপত্তিও জানাতে পারেন। ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড সিরিজে বড় রান না পেলেও ঠিক এই দিনটি থেকে সবশেষ ১ বছরের পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিলে ওয়ানডেতে দলের সবচেয়ে বেশি রান তারই। এই সময়ে ১২ ইনিংসে করেছেন ৪৩ গড়ে ৪৩০ রান। এই সময়ে দলের সবচেয়ে বেশি পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসও তার (৪টি)। স্ট্রাইক রেট ৮১.৫৯।

এই সময়ে রানের তালিকায় দুইয়ে থাকা লিটন দাস ১ ইনিংস বেশি খেলে রান করেছেন ৩৫.৬৩ গড়ে ৩৯২। ফিফটি তিনটি, স্ট্রাইক রেট ৮১.৬৬।

তামিমের দুঃসময় তাই বলার জো নেই। তবে প্রত্যাশা সবটুকু পূরণ হচ্ছে কিনা বা তার সামর্থ্য ও অভিজ্ঞতার প্রতিফলন পারফরম্যান্সে পুরোপুরি পড়ছে কি না, এই প্রশ্ন তোলাই যাই। বিশেষ করে, বড় ইনিংসের ক্ষেত্রে।

এই যে টানা ৬ ইনিংসে ফিফটি নেই তার, এর ঠিক আগের ৫ ইনিংসে তাকালেই চিত্রটা আরও ভালোভাবে ফুটে ওঠে। একটিতে তিনি অপরাজিত ৫০ করে দলের জয় সঙ্গে নিয়ে ফেরেন। বাকি ৪ ইনিংসে রান ছিল ৩৩, ৩৫, ৬২, ৫০। বারবারই থিতু হয়ে ইনিংস লম্বা করতে না পারার সেই ধারাবাহিকতা।

ওয়ানডেতে তার সবশেষ সেঞ্চুরিটি ২০২১ সালের জুলাইয়ে জিম্বাবুয়েতে। এরপর পেরিয়ে গেছে ১৭ ইনিংস।

অধিনায়কত্বের ৩২ ইনিংসে তামিমের সেঞ্চুরি ওই একটিই। এই পরিসংখ্যান তার মনে অস্বস্তির কাঁটা হয়ে বিদ্ধ করার কথা।

স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্ন তো অনেক দিন ধরেই তার সঙ্গী। তিনি জবাবও দিয়েছেন নানা সময়ে, কখনও ব্যাট হাতে, কখনও মুখে। তবে প্রশ্নগুলো যায়নি। গত এক বছরে তার ৮১.৫৯ স্ট্রাইক রেটও এই সময়ের ক্রিকেটে একজনের ওপেনারের জন্য যথেষ্টই কম।

এই এক বছরে ওপেনিংয়ে অন্তত ১০টি ইনিংস খেলেছেন, এমন ওপেনারদের মধ্যে শুবমান গিলের স্ট্রাইক রেট ১০৯.১৪, কুইন্টন ডি ককের ১০৭.৪৪, রোহিত শর্মার ১০৪.৫৩। তামিমের নাম এই তালিকায় ১৫ নম্বরে।

বাংলাদেশের টপ অর্ডারের অন্যদের স্ট্রাইক রেটের অবস্থাও অবশ্য এই এক বছরে খুব দারুণ কিছু নয়। এই সময়ে ওপেনিংয়ে লিটনের স্ট্রাইক রেট (৭৯.৮৯) তামিমের চেয়েও কম। ওপেনিং থেকে তিন নম্বর মিলিয়ে ১২ ইনিংস খেলা নাজমুল হোসেন শান্তর স্ট্রাইক রেট ৭২.১২।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.