আজ (বৃহস্পতিবার) আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নেমেছেন ক্যারিয়ারের অষ্টম ওয়ানডে। এরই মধ্যে ফাইফারের দেখা পেয়ে গেলেন ডানহাতি এই পেসার।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৬ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে আইরিশরা। এর মধ্যে হাসান মাহমুদ নেন প্রথম ৩টি উইকেট। আউট করেন স্টিফেন দোহানি, পল স্টারলিং আর হ্যারি টেক্টরকে। মাঝে সেট ব্যাটার কুর্তিস ক্যাম্ফারকে সাজঘর দেখানোর পর গ্রাহাম হুমেকে এলবিডব্লিউ করে শেষটাও করেছেন হাসান মাহমুদ। সবমিলিয়ে ৩২ রান দিয়ে ৫টি উইকেট নিয়েছেন এই পেসার। বোলিং ফিগার ৮.১-১-৩২-৫। 
পেস বান্ধব কন্ডিশনে যেটুকু বাড়তি সুবিধা নেয়া যায়, তার সবটুকুই নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ-হাসান মাহমুদরা। শুরু থেকেই আইরিশদের রানের চাকা আটকে রাখলেও উইকেটের দেখা পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হ পঞ্চম ওভার পর্যন্ত। এই ওভারের তৃতীয় বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে রেখে গুড লেন্থে করেছিলেন হাসান, সঙ্গে ছিল বাড়তি পেস আর তাতেই পরাস্ত ডোহেনি। উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের হাতে ধরা পড়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২১ বলে ৮ রান।
এরপর নবম ওভারে আক্রমণে ফিরে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন হাসান। এই পেসারকে খেলতে এদিন চোখে রীতিমতো সরষে ফুল দেখেছেন আইরিশ ব্যাটাররা। এবার অফ স্টাম্পের বাইরে চতুর্থ স্টাম্প বরাবর রেখে গুড লেন্থে ফেলেছিলেন হাসান। ইন সুইং করে ভেতরে ঢোকা বল ব্যাটে খেলতে পারেননি স্টার্লিং, সরাসরি তার প্যাডে আঘাত হানে। তাতে হাসানের আবেদনে সাড়া দিতে খুব একটা সময় নেননি আম্পায়ার। সাজঘরে ফেরারা আগে ১২ বলে ৭ রান করেছেন এই অভিজ্ঞ ওপেনার।
স্টার্লিং ফেরার দুই বল পর আবারও আঘাত হানেন হাসান। এবার তার শিকার হ্যারি ট্যাক্টর। ওভারের চতুর্থ বলটি ব্যাক অব লেন্থে রেখেছিলেন হাসান, সেখান থেকে ভেতরে ঢোকা বলে ব্যাট চালিয়েও পুরোপুরি পরাস্ত হন এই ব্যাটার। বল তার পায়ে আঘাত হানলে আবেদন করেন হাসান। কিন্তু আম্পায়ার তাতে সাড়া দেননি। ফলে রিভিউ নেন তামিম ইকবাল। আর তখনই আম্পায়ার তার সিদ্ধান্ত বদলে আউট দিতে বাধ্য হন।
শুধু ওয়ানডে নয়, ক্যারিয়ারে ১৩টি টি-টোয়েন্টি খেলে এর আগে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পাওয়ার কীর্তি ছিল হাসান মাহমুদের।