এএফসি কাপ ফুটবলে গ্রুপ পর্বের অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে মালদ্বীপে গিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। গত ১৯ সেপ্টেম্বর মালদ্বীপের মালেতে মাজিয়া স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে খেলে ৩-১ গোলে হেরেছিল বসুন্ধরা কিংস।
ঢাকায় ফিরে বিমানবন্দরে কাস্টমসের হাতে ধরা পড়েন পাঁচ ফুটবলার। তাদের ব্যাগ থেকে বের করে আনা হয় মদের বোতল। কাস্টমস বিভাগ ফুটবলারদের ব্যাগ থেকে ৬৪ বোতল মদ জব্দ করেছে।
অভিযুক্ত পাঁচ ফুটবলারকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে তাদের ক্লাব বসুন্ধরা কিংস। যারা অভিযুক্ত হয়েছেন, সেই সব গুরুত্বপুর্ণ ফুটবলার ছাড়াই বসুন্ধরা কিংস সোমবার এএফসি কাপ ফুটবলের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলেছে।
কিংসের নিজেদের ঘরের মাঠে জয় পেয়েছে ভারতের ক্লাবের বিপক্ষে। ক্লাবের সভাপতি ইমরুল হাসান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করেছি। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। ওরা জাতীয় দলের খেলোয়াড়, আমরা অধিকতর তদন্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। আমাদের ক্লাব থেকেই তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘পাঁচজনকেই ক্যাম্প থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তদন্তের প্রয়োজনে অভিযুক্ত ফুটবলারদের ডাকা হতে পারে।’
বিদেশের মাঠে খেলতে গিয়ে ফুটবলাররা মদ নিয়ে বিমানবন্দরে ধরা পড়তে পারেন—এটা ক্লাব কর্তৃপক্ষ চিন্তাও করতে পারে না। অভিযোগ এতই গুরুতর যে ক্লাব কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে অভিযুক্ত ফুটবলারদের ক্যাম্প থেকে বের করে দিয়েছে। আর এরা হলেন জাতীয় দলের সিনিয়র ফুটবলার রক্ষণভাগের তপু বর্মণ, গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো, আক্রমণভাগের শেখ মোরসালিন, রিমন ও সবুজ।