ভারতে চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের চলছে বাঁচা-মরার লড়াই। পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তিন ম্যাচ হেরে পয়েন্ট টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে বাবর আজমের দল। প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখার ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২৭০ রানে অলআউট হয়েছে পাকিস্তান।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) চেন্নাইয়ের এম এ চিদম্বরাম স্টেডিয়ামে হাইভোল্টেজ ম্যাচে অধিনায়ক বাবর আজম ও শাদাব খানের ফিফটিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৭১ রানের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে পাকিস্তান। প্রোটিয়া স্পিনার তাবরাইজ শামসি ৬০ রানে ৪টি উইকেট শিকার করেন।
চেন্নাইয়ে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক বাবর আজম। শুরুতেই পাক ওপেনারদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে প্রোটিয়া পেসাররা। ৩৬ রানের মধ্যে আব্দুল্লাহ শফিক ও ইমাম-উল-হককে সাঝঘরে ফেরত পাঠান বাঁহাতি পেসার মার্কো জেসসেন। তৃতীয় উইকেটে ৪৮ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানকে বিপদ থেকে রক্ষা করেন বাবর আজম ও মোহাম্মাদ রিজওয়ান। ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৭ বলে ৩১ রানে আউট হন পাক উইকেটকিপার।
ওয়ানডেতে দুই দলের মুখোমুখি পরিসংখ্যানেও প্রোটিয়াদের দাপট। এখন পর্যন্ত খেলা দুদলের ৮২টি ওয়ানডে ম্যাচের মধ্যে ৫০টিতে জয় আছে দক্ষিণ আফ্রিকার, বিপরীতে ৩১ জয় পাকিস্তানের।
বিশ্বকাপের পরিসংখ্যানেও এগিয়ে প্রোটিয়ারা। দুই দল পরস্পরের বিপক্ষে বিশ্বকাপে মোট পাঁচটি ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় তিনটি ম্যাচে। বাকি দুটি ম্যাচ জিতেছে পাকিস্তান।
২০১৫ ও ২০১৯ সালের দুই আসরেই আবার জয়ের মুখ দেখেছিল পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে পাকিস্তানিরা। এখন দেখার পালা, আজ প্রোটিয়াদের জয়ের সংখ্যা বাড়ে নাকি পাকিস্তানের শেষ চারের আশা টিকে থাকে।
পাকিস্তান একাদশ
আবদুল্লাহ শফিক, ইমাম-উল-হক, বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), সৌদ শাকিল, ইফতিখার আহমেদ, শাদাব খান, উসামা মীর, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, শাহীন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফ।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ
টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), রাসি ভ্যান ডার ডুসেন, এইডেন মার্করাম, হেনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার, মার্কো জানসেন, কেশব মহারাজ, তাবরেজ শামসি, লুঙ্গি এনগিদি ও লিজাড উইলিয়ামস।
আরও পড়ুন
টস জিতে দ.আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান