হকির প্রতি তার ভালোবাসা ছিল অন্যরকম। চট্টগ্রামের এই সংগঠককে এখন হকি ফেডারেশন কিংবা আর কোথাও দেখা যাবে না।
শনিবার সকালে অন্যলোকে পাড়ি জমিয়েছেন সদা হাস্যোজ্জ্বল ক্রীড়া সংগঠক ইউসুফ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।
বেশ কিছুদিন ধরেই ডায়াবেটিসসহ নানা রকমের শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন ইউসুফ। এর ওপর দুই দিন আগে হার্টে ব্লক ধরা পড়ে। চট্টগ্রাম এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসকেরা ইউসুফের হার্টে রিং পরিয়েছিলেন। ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয় আইসিইউতে। কিন্তু সেখান থেকে আর ফিরে আসতে পারেননি। না ফেরার দেশে চলে গেছেন ইউসুফ।
চট্টগ্রাম হকি কেন্দ্রের কোচ মহসিন উল হক চৌধুরী ইউসুফের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘অসুস্থ অবস্থায় ইউসুফকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সকালে আমরা তার মৃত্যুর খবর পেয়েছি।’
বাদ আসর চট্টগ্রামের সিডিএ মসজিদে তার নামাজে জানাজা হবে। এরপর চট্টগ্রাম শহরের হযরত গরীবউল্লাহ শাহ (রাঃ) কবরস্থানে দাফন করার কথা রয়েছে ।
চিরপ্রয়াণের আগে ইউসুফ হকি ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি ছিলেন। এর আগের কমিটিতে ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক। সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদ দেশের বাইরে থাকা অবস্থায় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করার চেষ্টা করেছেন। এছাড়া চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) সঙ্গে অনেক দিন থেকে জড়িত। তিনি ছিলেন সিজেকেএসের সর্বশেষ নির্বাহী কমিটির সদস্য। ছিলেন চট্টগ্রাম মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অন্যতম কর্মকর্তাও।
ইউসুফের মৃত্যুতে চট্টগ্রামসহ হকি অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমেছে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর যেমন বলেছেন, ‘তিনি চট্টগ্রামের একজন জনপ্রিয় সংগঠক ছিলেন। চট্টগ্রামের হকিটাকে একলাই বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। হকির চর্চা করতেন। সবচেয়ে বড় কথা পদ পদবীরে চেয়ে কাজ বেশি পছন্দ ছিল। গত নির্বাচনে যুগ্ম সম্পাদক ও সদস্য ফরম তুলেও অভিমানে সেটা তুলে নেন। খুব নীরবে নিভৃতে কাজ করতেন। সত্যিকার অর্থে তৃণমূল সংগঠক বলতে যা বোঝায় তিনি সেটাই ছিলেন।’