প্যারিস অলিম্পিক ২০২৪ এ যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে পদক জেতেন স্কেটবোর্ডিং খেলোয়াড় নাইজাহ হিউস্টন। জেতার দশদিনের মাথায় তার ব্রোঞ্জ পদকের রঙ বদলাতে শুরু করে। এর জের ধরে অলিম্পিক মেডেলের মান নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। নাইজাহ কৌতুক করে বলেন পদকটি যুদ্ধ ঘুরে এসেছে।
২৯ জুলাই ব্রোঞ্জ পদক জেতেন আমেরিকান স্কেটবোর্ডার নাইজাহ হিউস্টন। সম্প্রতি তিনি তার জেতা পদকের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রাম এর স্টোরিতে শেয়ার করেন। সেখানে তিনি পদকের রঙ বদলে যাওয়ার ব্যাপারে লিখেছেন," যখন প্রথম আমাকে পদকটি দেওয়া হয়েছিল, তখন এটি ছিল চকচকে। কিন্তু আমার ঘর্মাক্ত ত্বকের সংস্পর্শে এসে, সপ্তাহজুড়ে বন্ধুদের গলায় ঝুলে থাকার পর এমন হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে এতে যথাযথ মান রক্ষা করা হয়নি। আমি জানি না আসলে কী হয়েছে। অলিম্পিক মেডেল, তুমি হয়তো মানটা আরও বাড়িয়ে নিতে পারতে!"
আরেকটি পোস্টে নাইজাহ মজা করে লিখেছেন, "এই পদক দেখে মনে হচ্ছে এটি যুদ্ধে গিয়েছিল, এখন সেখান থেকে ফিরেছে।" তার সেই কৌতুকে যোগ দিয়েছেন ইনস্টাগ্রাম অনুসারীরাও। তাদেরই একজন লিখেছেন, "মনে হচ্ছে তুমি ১৯৮২ সালে এই পদকটি জিতেছ।" এর আগে প্যারিস অলিম্পিকের বেশকিছু ব্যবস্থাপনা নিয়েও বিতর্ক উঠেছিল। তার মধ্যে অন্যতম একটি ছিল দূষণ ও ব্যাকটেরিয়ার কারণে সিন নদীতে ট্রায়াথলনের প্রতিযোগিতা স্থগিত করা।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান এর ভাষ্যমতে, প্যারিস অলিম্পিকের মেডেলে আইফেল টাওয়ার যে লোহায় বানানো তার ছোট একটি অংশ ব্যবহার করা হচ্ছে। গোল্ড মেডেলের বেশিরভাগ জুড়েই রয়েছে সিলভার-গোল্ডের মিশ্রণ। আর কপার, জিঙ্ক ও টিনের সমন্বয়ে গড়া ব্রোঞ্জ মেডেল। সঙ্গে অক্সিজেনের নির্দিষ্ট মাত্রার ব্যাপারও থাকে, সেটি রক্ষা না হওয়ায় নাইজাহ’র মেডেলটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে। তবে সেটি নির্ভর করছে এতে ব্যবহৃত উপাদানগুলোয় কতটা মান রক্ষা হয়েছে তার ওপর। এর আগে মেডেলের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ভারতীয় অ্যাথলেট নীরাজ গুপ্ত-ও।
প্রসঙ্গত, নাইজাহ বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা স্কেটবোর্ডারদের একজন। সে কারণে তার ব্রোঞ্জ জয়ের নজির তেমন নেই। তিনি সাধারণত স্বর্ণপদক জিতে আসছেন বিভিন্ন প্রতিযোগিতায়। ২৯ বছর বয়সী নাইজাহ ছয়বার স্ট্রিট স্কেটবোর্ডিংয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন এবং গ্রীষ্মকালীন এক্স গেমসে ১২ বার স্বর্ণ জিতেছেন।