গত (৫আগস্ট) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করার পর রদবদল হয় বিভিন্ন মন্ত্রনালয় এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের। কেউ স্ব-ইচ্ছায় অথবা কেউ পরিস্থিতির মুখে। কিন্তু সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির পদে থাকা পাপন কি আদৌ বোর্ডে আছেন কি নেই সে হদিস কারো কাছে নেই। বলা হয় তিনি রয়েছেন আত্মগোপনে।
শুরু থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত পাপন। কিশোরগঞ্জ-৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্বেও ছিলেন পাপন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। পরদিন ভেঙে দেওয়া হয় সংসদ। এতে বিলুপ্ত হয়ে যায় মন্ত্রিসভাও।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি বিসিবি প্রধানকে। তাই সবার মনে এখন প্রশ্ন পাপন কোথায়? ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকেটইনফো এক সূত্রের মাধ্যমে জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের অন্য অনেক নেতার মতোই দেশত্যাগ করেছেন বিসিবি সভাপতি। তবে আরও একটি সূত্র বলছে দেশেই রয়েছেন পাপন। কিশোরগঞ্জে তার পৈতৃক বাড়ি ভাঙচুর করা হলেও সেখানে ছিলেন না তিনি।
পাপনের জাতীয় সংসদের পদ চলে গেলেও ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্বে এখন পর্যন্ত তিনিই থাকছেন। কেননা বর্তমান মেয়াদ অনুযায়ী ২০২৫ সাল পর্যন্ত তিনিই থাকছেন বিসিবি প্রধান। ক্ষমতার পালাবদলে তাকে সরানোরও কোনো সুযোগ থাকছে না। বোর্ডের ওপর সরকার বা অন্য কোনো শক্তির উপস্থিতিতে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়বে বাংলাদেশ ক্রিকেট। অতীতে সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিল।