জাতীয় দলের
সাবেক অধিনায়ক জাহিদ হাসান এমিলি আগামী মাসে কম্বোডিয়ায় এএফসি অ-১৭ টুর্নামেন্টের বাছাইয়ে
বাংলাদেশ দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পেয়েছেন।
তিন
দিন আগে বাফুফে থেকে এমিলি ম্যানেজার হওয়ার চিঠি পেয়েছেন। নতুন দায়িত্ব সম্পর্কে সাবেক তারকা ফুটবলার বলেন, ‘এক যুগের বেশি
দেশের হয়ে খেলেছি। অধিনায়কও ছিলাম। ফেডারেশন আমার অভিজ্ঞতাকে মুল্যায়ন করায় ধন্যবাদ জানাই। তরুণ ফুটবলারদের আমার অভিজ্ঞতা থেকে কিছু দেওয়ার চেষ্টা করব। আর এটি নতুন
দায়িত্ব আমার জন্য অবশ্যই নতুন চ্যালেঞ্জ।’
২০০৫-২০১৫ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলে এক নম্বর স্ট্রাইকার
ছিলেন এমিলি। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে দশের বেশি গোল আছে। ঘরোয়া ফুটবল খেলেছেন প্রায় দেড় যুগ। খেলা ছাড়ার পর ফুটবলসংশ্লিষ্ট কাজেই
থাকছেন। আনুষ্ঠানিক কোনো দলের দায়িত্ব এবারই প্রথম। বাংলাদেশ অ-১৭ দল
এখন ভুটানে সাফ অ-১৭ টুর্নামেন্ট
খেলছে। এই টুর্নামেন্ট থেকে
ফিরে এসে এএফসি বাছাইয়ের প্রস্তুতি শুরু হবে। ১ অক্টোবর থেকেই
মূলত এমিলির দায়িত্ব শুরু।
আগস্ট-অক্টোবরে সাফ ও এএফসি মিলিয়ে
বয়সভিত্তিক পর্যায়ে বাংলাদেশের চারটি টুর্নামেন্ট। চার টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের চার জন ম্যানেজার। সাফ
অ-২০ চ্যাম্পিয়ন দলের
ম্যানেজার ছিলেন খন্দকার রকিবুল ইসলাম। সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসার পর এএফসি অ-২০ টুর্নামেন্টের বাছাইয়ে
বাফুফে ভিয়েতনামে পাঠিয়েছে নারায়াণগঞ্জ জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি শহীদুল ইসলাম স্বপনকে। ম্যানেজার বদল প্রসঙ্গে প্রশ্ন উঠেছিল সংবাদ সম্মেলনে। কোচ মারুফুল হক এই প্রসঙ্গে
তখন বলেছিলেন, ‘ম্যানেজার পরিবর্তনের প্রভাব ৫ শতাংশ। খেলোয়াড়
পরিবর্তনে সেটা ৯৫ ভাগ। রকিব
ভাই ও স্বপন দুই
জনই আমার দীর্ঘদিনের পরিচিত। দুইজনের সঙ্গে কাজ করতে আমার কোনো সমস্যা নেই।’
অ-২০ দলে ম্যানেজার
পরিবর্তন হলেও জাতীয় দলে খেলা অভিজ্ঞতা খেলোয়াড় দায়িত্বে রয়েছেন। সাফ অ-১৭ টুর্নামেন্টে
ম্যানেজার হয়েছেন সিরাজগঞ্জ জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি কামরুল ইসলাম হিলটন। এই সংগঠক গত
নির্বাচনে সালাউদ্দিনের প্যানেলে ছিলেন। আসন্ন নির্বাচনেও তিনি কাউন্সিলর হচ্ছেন। একটি ভোট নিশ্চিত করতেই হিল্টন অ-১৭ দলের
ম্যানেজার এমনটাই ধারণা ফুটবলসংশ্লিষ্টদের।