বাংলাদেশ
জাতীয় ক্রিকেট দলে হেড কোচের ভূমিকায় চন্ডিকা হাতুরুসিংহের বিদায়ঘন্টা বেজে গেছে। আজ
(১৫ অক্টোবর) বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে এক সংবাদ
সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এতে হেড কোচের শূন্য হওয়া জায়গাটি পূরণ করতে যাচ্ছেন ক্যারিবিয়ান
কোচ ফিল সিমন্স।
আসন্ন
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দিন কয়েক আগেই বরখাস্ত হলেন হাথুরুসিংহে। জানা গেছে, লঙ্কান এই কোচের স্থলাভিষিক্ত
হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন ফিল সিমন্স। ক্যারিবিয়ান এই কোচের সঙ্গে
আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত চুক্তি বিসিবির।
কোচ
হিসেবে বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার সিমন্সের। বিশ্বজুড়েই পরিচিতি তার। সবশেষ ২০২৪ আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে
পাপুয়া নিউগিনির হেড কোচ ছিলেন ফিল সিমন্স। তার আগে ২০২১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের হেড কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
এর আগে ২০০৪-০৫
সালে জিম্বাবুয়ের কোচের দায়িত্বে ছিলেন সিমন্স। কাজ করেছেন আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের
দলের সঙ্গেও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে টেস্ট ও ওয়ানডে মিলিয়ে প্রায় ১৬০টি ম্যাচ খেলেছেন
সিমন্স।
পাশাপাশি
বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতেও সরব বিচরণ রয়েছে তার। এবার নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে বাংলাদেশে আসতে যাচ্ছেন তিনি।
এদিকে,
জাতীয় দলের ক্রিকেটারের সঙ্গে অসদাচরণ ও আচরণবিধি ভাঙার
দায়ে মূলত হাথুরুকে বিদায়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফারুক। সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, আইনগত কিছু বিষয় থাকায় শুরুতে তাকে শোকজ ও সাসপেন্ডের মধ্য
দিয়ে যেতে হচ্ছে। তারপরেই চুক্তি বাতিলের বিষয়টি আসবে। সব মিলিয়ে তাকে
ছাঁটাইয়ের বিষয়টি পাকা করে ফেলেছেন তারা।
ফারুক আহমেদ
বলেন, ‘বর্তমান কোচের ব্যাপারে আমরা চেষ্টা করছিলাম মানিয়ে নিতে। দুই-তিনটা ঘটনা ঘটেছে।
ইচ্ছেমতো ছুটি কাটানো, জাতীয় দলের খেলোয়াড়ে গায়ে হাত তোলার মতো ঘটনা কোনোভাবেই দলের
জন্য ভালো উদাহরণ ছিল না। তাই তাকে ৪৮ ঘণ্টার শোকজ ও সাসপেনশন দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই
এটা স্থায়ী হয়ে যাবে।’