বাংলাদেশের
হোম অফ ক্রিকেট মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম
এলাকায় আজ (২০ অক্টোবর) সাকিব ভক্তদের আন্দোলনে উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ঘরের
মাঠে শেষ টেস্ট খেলে সাকিবের অবসরের সুযোগ করে দিতে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের পদত্যাগের
দাবি নিয়ে মিরপুর সরগরম করেছে সাকিবিয়ানরা।
আজ (২০ অক্টোবর)
দুপুর দুটো নাগাদ মিরপুরে স্টেডিয়ামের সামনে লং মার্চ নিয়ে আসেন ভক্তরা। তবে তাদের
এই লংমার্চ বাধা পায় আগে থেকেই অবস্থান নেয়া সেনাবাহিনীর সামনে। এরপরেই সেখানে সাকিব
ভক্তদের সঙ্গে এর বিরোধীপক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
আন্দোলনকারীরের
সঙ্গে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানান তারা। খেলা সংক্রান্ত
এই দাবির সঙ্গে রাজনীতি যুক্ত না করার আহ্বানও জানান সাকিব ভক্তরা। এসময় বোর্ড সভাপতি
ফারুক আহমেদকে ব্যর্থ বলেও উল্লেখ করেছেন আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র।
তিনি বলেন,
‘যেহেতু তারা বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদকে যথেষ্ট সম্মান জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন
এবং সে যখন অনুতপ্ত হয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন, তারপরেও যখন তাকে নিরাপত্তা
(নিশ্চয়তা) দিতে পারেনি, তখন ব্যর্থতার ঢেঁকুর তুলেছে। আমরা কোনো ব্যর্থ বোর্ড সভাপতি
চাই না।’
উল্লেখ্য,
দিনদুয়েক আগেই নিজের শেষ টেস্ট খেলতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের বিমান ধরেন
সাকিব আল হাসান। শর্ত ছিল, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পেলে দেশের মাটিতে নিজের শেষ টেস্ট খেলবেন
তিনি। এখান থেকেই যাবেন অবসরে। তবে দুবাই পর্যন্ত আসার পরেই ফিরিয়ে দেওয়া হয় সাকিবকে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সরাসরি পরামর্শেই
ফিরে যান সাকিব আল হাসান।
গতকাল
এই সংক্রান্ত ব্যাখ্যা ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘সাকিব
আল হাসানের যে বিষয়টা আমি
সেটা একটা বিবৃতির মাধ্যমে আমার পেইজ থেকে স্পষ্ট করেছি। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ক্রীড়াঙ্গনে যেন কোনো প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ না ঘটে এবং
খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই বিসিবিকে এই পরামর্শ দিয়েছি
আপাতত দেশে না আসার পরামর্শ
আমি বিসিবিকে দিয়েছি এবং বিসিবি সেই অনুযায়ী কথা বলেছে।’
আসিফ
মাহমুদ জানান, ‘নিরাপত্তা
কিন্তু এটা না যে নিরাপদে
দেশে এনে খেলানো, নিরাপত্তা এটাও যে দেশে আসলে
যদি নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটার কোনো সম্ভাবনা থাকে সেটাকেও আগে থেকে অকার্যকর করা। উভয় দিক থেকেই নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে।’