বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। কিছুদিন আগেই ইংল্যান্ডের কাউন্টি ম্যাচে বোলিং অ্যাকশনে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে ইংল্যান্ডের বার্মিংহামের লাফবরো ইউনিভার্সিটির মেডিকেল বিভাগে বিশেষজ্ঞদের সামনে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েছেন তিনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বোলিং অ্যাকশনে পাস না করা পর্যন্ত ইসিবি আয়োজিত কোনো প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবেন না সাকিব। 

২০১০-১১ মৌসুমের পর এ বছরই প্রথম কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে খেলেছেন সাকিব। তিনি সারের হয়ে সমারসেটের বিপক্ষে মাত্র একটি ম্যাচ খেলেন তিনি। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট পান তিনি। এরপরও তার বোলিং নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আম্পায়ার। 

এরপর লিগ কর্তৃপক্ষ জানায়, ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট বা কাউন্টিতে খেলতে হলে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় সাকিবকে পাস করতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, বাঁহাতের স্পেন ভেল্কিতে রেকর্ড করা এই অলরাউন্ডার সে পরীক্ষায় পাস করতে পারেন নি। লাফবরো ইউনিভার্সিটির ফল ঘোষণার পর গত মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) থেকেই সাকিবের বোলিং নিষিদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়ে যায়।

সাকিব যদি তার বোলিং অধিকার ফিরে পেতে চায় তাহলে তাকে পুনরায় পরীক্ষা দিতে হবে। ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী, বোলিংয়ের সময় স্পিনাররা তাদের কনুই সর্বোচ্চ ১৪ ডিগ্রিতে ভাঙতে পারেন। সাকিবকেও প্রমাণ করতে হবে, তিনিও কনুই ১৪ ডিগ্রির কম ভেঙে বোলিং করতে পারেন।

সাকিব আল হাসান পেশাদার ক্রিকেটে দীর্ঘ সময় পার করেছেন। অলরাউন্ডারের স্বীকৃতি পেয়ে জাতীয় দল ছাড়াও খেলেছেন দেশের ও বিশ্বের প্রথম সারির প্রায় সব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে। ২০০৬ সালে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ক্যারিয়ার শুরু করেন। তিনি পুরো ক্যারিয়ারে মোট ৪৪৭ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। শিকার করেছেন মোট ৭১২ উইকেট।