আজ (৩০ ডিসেম্বর) শুরু হল বহুল প্রতিক্ষীত বিপিএলের একাদশতম আসর। উদ্ধোধনী ম্যাচেই চার ছক্কার বন্যা বয়ে গেল মিরপুর শের-ই- বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। দুর্বার রাজশাহীর ১৯৮ রানের টার্গেটে শুরুতে হোঁচট খেয়েও ফাহিম আশরাফ-মাহমুদুল্লাহ'র ৮ম উইকেটে ৮৮ রানের জুটিতে শুরুটা দারুণ করল ফরচুন বরিশাল।
টসে জিতে দুর্বার রাজশাহীকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
মিরপুরের নতুন স্পোর্টিং উইকেটে বরিশালের কোন বোলারই পাত্তা পায়নি। ইয়াসির রাব্বি খেলেন অপরাজিত ৪৭ বলে ৯৪ রানের অতিমানবীয় এক ইনিংস। আর রাহশাহীর অধিনায়ক আনামুল হক বিজয় করেছেন ৫১ বলে ৬৫ রান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে এ দুই ব্যাটারের ১৪০ রানের পার্টনারশিপে ১৯৭ রানের বড় সংগ্রহ পায় দুর্বার রাজশাহী।
ফরচুন বরিশালের হয়ে বল হাতে সফল ছিলেন কেবল ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার জাইল মেয়ার্স। ৩ ওভারে মাত্র ১৩রান দিয়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। বাকিরা সবাই ছিলেন নিস্প্রভ।
১৯৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ফরচুন বরিশালের ইনিংসের প্রথম বলেই গোল্ডেন ডাক মেরে জিসানের বলে ধরাশায়ী হন নাজমুল হোসেন শান্ত। ০ রানে এক উইকেট হারানো ফরচুন বরিশালের টপ অর্ডার ধ্বসে পড়ে তাসকিনের বলে দুর্দান্ত বোলিংয়ে। তার শিকার হয়ে ফিরে যান অধিনায়ক তামিম ইকবাল এবং কাইল মেয়ার্স। ৩২ রান করে ভয়ংকর হয়ে ওঠা তৌহিদ হৃদয় এবং মাত্রই হাত চালাতে শুরু অভিজ্ঞ মুশফিককে ফেরান হাসান মুরাদ।
৬১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে খেই হারায় বরিশালের লঞ্চ। আরও একবার শক্ত হাতে হাল ধরেন অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ।

এর মাঝে মোহাম্মদ নবীর মত অভিজ্ঞ প্লেয়ারকে রেখে শাহীন শাহ আফ্রিদিকে নামায় ফরচুন বরিশাল। ১৭ বলে ২৭ রানের একটি সময়োপযোগী ক্যামিও উপহার দেন আফ্রিদি। আফ্রিদি-মাহমুদুল্লাহ'র ৫১ রানের জুটিতে ঘুরে দাড়ায় বরিশাল।
এরপর আবারো তাসকিনের আঘাত। আফ্রিদি ফিরে গেলে মাঠে আসেন ফাহিম আশরাফ। ডাগ আউটে তখনো অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবী। একের পর এক ডট বল খেলতে থাকেন ফাহিম আশয়াফ। ধারাভাষ্যকাররা বলছিলেন এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মোহাম্মদ নবীকে রেখে ফরচুন বরিশালের এমন সিদ্ধান্তের কারণটা কি?
তার সুযোগ্য জবাব দিলেন ফাহিম আশরাফ। প্রথম ৭ বলে মাত্র ১ রান করা ফাহিম পরবর্তী ১৪ বলে ৫৩ রান যোগ করেন। মাত্র একটি চার মেরেছেন, কিন্তু ছক্কা এসেছে ৭টি!। ২১ বলে ৫৪ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
ম্যাচসেরা হন এক্সপেরিয়েন্সড ক্যাম্পেইনার মাহমুদুল্লাহ। ২৬ বলে ৫৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি।