বাংলাদেশ
জাতীয় ক্রিকেট দলের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেবেন
এই গুঞ্জনটা অনেকদিন ধরেই চলছিল। ব্যাট হাতেও ভুগছিলেন ফর্মহীনতায়। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা
বলছিলেন অধিনায়কত্বের চাপে ব্যাট হাতে রান পাচ্ছিলেন না তিনি। শেষমেশ ক্যাপ্টেনসি ছেড়েই দিলেন।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে
নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ফারুক আহমেদ।
গত
বছরের ফেব্রুয়ারি তিন ফরম্যাটেই অধিনায়ক ঘোষণা করা হয় শান্তকে। কিন্তু
অধিনায়কত্বের সঙ্গে পারফরম্যান্সের তেমন একটা মেলবন্ধন ঘটেনি। বিশেষ করে, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে
সবশেষ ১৯ ম্যাচে কোনো
ফিফটি নেই তার। সমালোচনার মুখে গত অক্টোবরেই সব
ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিসিবি তাকে থেকে যাওয়ার জন্য রাজি করায়।
বিসিবি
সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, শান্ত ফাইনালি বলে দিয়েছে সে আর টি–টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব করবে না। আমরাও এটা মেনে নিয়েছি। তবে যেহেতু আপাতত আমাদের টি–টোয়েন্টি খেলা
নেই, হাতে সময় আছে; এখনই নতুন অধিনায়ক নিচ্ছি না। তবে যদি চোটের সমস্যা না থাকে, ওয়ানডে
ও টেস্টে শান্তই অধিনায়ক থাকবে। সেভাবেই কথা হয়েছে।
কুঁচকির
চোটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যেতে পারেননি শান্ত। তার অনুপস্থিতিতে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে
অধিনায়ক ছিলেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। আর টি-টোয়েন্টি
সিরিজে দলনেতার ভূমিকা পালন করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার লিটন দাস। তার নেতৃত্বে ক্যারিবিয়ানদের ৩-০ ব্যবধানে
হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। এরপর সংবাদ সম্মেলনে লিটন জানান, বিসিবি চাইলে পূর্ণ মেয়াদেও দায়িত্ব পালন করতে তৈরি তিনি। তাই লিটনই যে নতুন অধিনায়ক
হতে যাচ্ছেন তা প্রায় নিশ্চিতই বলা চলে।