শিরোনামটা পুরোপুরি সত্যি নয়। ১০ ওভার থেকে ৩ বল কম, ৫৭ বল হাতে রেখেই সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সহজ জয় তুলে নিয়েছে ফরচুন বরিশাল।
ফরচুন বরিশালের পাকিস্তানি তরুণ অলরাউন্ডার জাহানদাদ খান বিপিএল ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম ব্যাট করতে নেমেই বলটা সীমানা ছাড়া করলেন তখন সিলেটের মাটিতে টানা দ্বিতীয়বারের মত গন্তব্যে সফল ফরচুন বরশালের লঞ্চ।
এর আগে বল হাতে ১৮ রান দিয়ে গর্জ মানসে, অ্যারন জোন্স, এবং জাকের আলীর মত প্লেয়ারদের উইকেট নিয়ে সিলেটের ব্যাটিং স্তম্ভ চুরমার করে দিয়েছেন জাহানদাদ।
টসে জিতে আগে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানান তামিম ইকবাল।
৮ ওভার পর্যন্ত ভালই এগোচ্ছিল সিলেট। রনি তালুকদার ডাক মারলেও কর্ণওয়াল এর ১৮, জাকির হাসানের ধীরগতির ২৫ এবং জর্জ মানসে’র ১৩ বলে ৩ ছক্কায় ২৮ রানে সিলেট যখন বড় সংগ্রহের পথে আগাচ্ছে সিলেট তখনই জাহানদাদের আক্রমণ।
রিশাদ হোসেনও এদিন বল হাতে ছিলেন সফল, ৪ ওভারে ১ মেডেন দিয়ে মাত্র ১৫ রান খরচায় ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনিও।
ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ ২৯ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৬ রান করেন ক্যাপ্টেন আরিফুল হক।
মাত্র ১২৫ রানে সিলেটকে গুটিয়ে ফেলে এদিন বরিশাল।
আগের দিন ৮৬ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়া তামিম ইকবাল এদিন মারেন গোল্ডেন ডাক। ব্যাট হাতে এদিনও ব্যর্থ শান্ত। ৩ বলে ১ টি বাউন্ডারি মেরে তানজিম সাকিবের বলে উইকেটের পিছে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নিয়েছেন তিনি।
৬ রানে দুই উইকেট হারিয়ে শুরুতে খাবি খেতে থাকে বরিশালের লঞ্চ।
এরপর মাত্র ৫১ বল খেলে ১১৬ রানের জুটি গড়েন কাইল মায়ার্স ও তৌহিদ হৃদয়।
শুরুটা করেছিলেন তৌহিদ হৃদয়। তানজিম সাকিবের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২৭ বলে ২ ছক্কার সাথে ৮টি বাউন্ডারি মেরে করে গেছেন ৪৮ রান। তার সাথে যোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত হৃদয়কে পেছনে ফেলেন কাইল মায়ার্স। ক্যারিবীয় এই অলরাউন্ডার ৩১ বলে ৫৯ রান করে দলকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন।
ম্যাচসেরা হয়েছেন জাহানদাদ খান।