তিন
স্বর্ণপদক জেতা আরচ্যারি দল
আজ রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে দেশে
ফিরেছে। তিন স্বর্ণপদকেরই
অংশীদার নাসরিন আক্তার। স্বর্ণপদক জয়ী এই আরচ্যার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে
তার এই পদক তুলে
দেয়ার ইচ্ছে ব্যক্ত করেছেন।
প্রধামন্ত্রীর
কাছে ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের
অনেক আবদার থাকে। সেক্ষেত্রে নাসরিন আক্তারের চাওয়া একটু ভিন্নই। তিনি
শুধু পদক প্রধানমন্ত্রীর হাতে
দিতে পারলেই সন্তুষ্ট। কারণটাও তিনি জানিয়েছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী
আমাদের জন্য অনেক করছেন।
তার জন্য আজ আমরা
নারীরা সমাজে অনেকটা এগিয়েছি। ক্রীড়াঙ্গনেও নারীদের অনেক অবদান। আমার
তার কাছে কিছু চাওয়া
নেই। এই স্বর্ণ পদক
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতে দিতে পারলেই
আমি খুশি হব।’
প্রধানমন্ত্রীর
সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছেটা
জেগেছে এই আরচ্যারির মাধ্যমেই,
‘রোমান ভাই অলিম্পিকে সরাসরি
খেলার যোগ্যতা অর্জনের পর প্রধানমন্ত্রীকে তাকে
মিষ্টিমুখ করিয়েছে। এর মাধ্যমে আমি
আরো বেশি অনুপ্রাণিত হয়েছি।’
গত পাঁচ-ছয় বছর
যাবৎ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে
আরচ্যারি খেলছেন নাসরিন আক্তার। সাউথ এশিয়ান আরচ্যারি
চ্যাম্পিয়নশিপে সোনাও জিতেছেন। ইসলামিক সলিডারিটি সহ অন্য ইভেন্টেও
পদক রয়েছে।
তবে
এই এশিয়ান আরচ্যারিতে নাসরিনকে ভিন্ন ভাবে চেনেছে ক্রীড়াঙ্গন।
এই সম্পর্কে তার বক্তব্য, ‘আসলে
আমি খুব পিছিয়ে ছিলাম
না। কখনো আমি এক
হয়েছি, আবার কখনো দ্বিতীয়।
তাই হয়তো
সেভাবে ফোকাসে আসতে পারিনি। এখন
তিন স্বর্ণ জেতায় অবশেষে সেই ফোকাস পেলাম।’
গত এক বছরে বাংলাদেশের
নারী আরচ্যারির অপ্রতিদ্বন্দ্বী নাম ছিল দিয়া
সিদ্দিকী। দিয়া বিকেএসপিতে এইচএসসি
শিক্ষার্থী। নাসরিন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রিতে পড়ছেন। দিয়ার থেকে সিনিয়র হয়েও
আলোচনায় অনেকটা পিছিয়ে ছিলেন এত দিন।
এই চ্যাম্পিয়নশিপে দিয়াকে ব্যক্তিগত ইভেন্টে পরাজিত করেছেন। এ নিয়ে অবশ্য
বাড়তি কোনো প্রতিক্রিয়া নেই
তার, ‘দিয়াকে হারিয়েছি এই নিয়ে এখনো
আমার কোনো প্রতিক্রিয়া নেই।
আমরা দুই জনই বাংলাদেশের
জন্য লড়েছি। দুই জনই সেরাটা
দেয়ায় ফাইনালটা আমাদের মধ্যে হয়েছে। ফাইনালে লক্ষ্য ছিল যেন সেরা
স্কোর করতে পারি। আমি
সফল হয়েছি।’
জুনিয়র
হয়েও দিয়া তার প্রতিভার
স্বাক্ষর রাখছেন এতে উচ্ছ্বসিত নাসরিনও,
‘সে অত্যন্ত মেধাবী না হলে অলিম্পিকের
মতো প্রতিযোগিতায় এত ভালো স্কোর
করা সম্ভব হতো না। তাছাড়া
সে অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিশীল বলেই কোচ ও
ফেডারেশন তাকে সহযোগিতা করছে।’